• বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:৩৬

সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং উন্নয়ন মেলা ও সম্মাননা স্বারক রিকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধি: / ৩৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

এস.ডি রিপন মাহমুদ: উৎসব মুখর পরিবেশে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং উন্নয়ন মেলা ও
সম্মাননা স্বারক সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় রিক-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) সকাল ৯ থেকে শুরু হওয়া বিকেল ৫ টা পর্যন্ত রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন
সেন্টার (রিক) এর বাস্তবায়নে ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর
সহোযোগিতায় সদর উপজেলা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয়
পর্যায়ের বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান-রিক এর সমৃদ্ধি কর্মসূচি মাধ্যমে শিক্ষা
সহায়তা কেন্দ্রের শিশু ও কিশোর-কিশোরী, যুব ও প্রবীণদের নিয়ে উপজেলা ক্রীড়া ও
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উন্নয়ন মেলা ও সমৃদ্ধি কর্মসূচির কার্যক্রমের সাথে যুক্ত
বিশিষ্ঠব্যক্তিবর্গের এই সম্মাননা স্বারক দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা
প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আলাউদ্দীন ভূঞা জনী প্রধান অতিথি থেকে উদ্ধোধন করেন।
এ সম্মাননা স্বারক দেয়া হয়েছে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম
খান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদ, জেলা হাসপাতালের আরএমও মো.
নিজাম উদ্দিন, রিক প্রধান কার্যলয়ের সহকারী মহাব্যাবস্থাপক মো. নাসির উদ্দিন, রিক-
এর জোনাল ম্যানেজার মো. এমদাদুল হক, পিরোজপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এডভোকেট
এস এম রেজাউল ইসলাম শামীম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম, উপজেলা
যুব উন্নয়ন অফিসার মো. জাহিদুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মতিউর
রহমান, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ এনায়েত করিম, কর্মসূচির আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো.
ফারুক রহমান, রিক এরিয়া ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম ও সাংবাদিকতায় বিশেষ
অবদান রাখায় সিনিয়র সাংবাদিক হাসান মামুন সহ মোট ১৩ জনকে।
অনুষ্ঠানে জোনাল ম্যানেজার মো. এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনা করেন রিক
এরিয়া ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম, কর্মসূচির সদর উপজেলা প্রোগ্রাম
কোঅর্ডিনেটর মো. গোলাম রাসেল ও প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর জয়কুমার ঘোষ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইএসআইজিওপি প্রকল্প সাব-ডিস্ট্রিক্ট
কোঅর্ডিনেটর মো. মাইনুল আহসান মুন্ন, মেহেদি হাসান মিরাজ, লুৎফুরন্নাহার
রুমা সহ কর্মসূচির বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,
শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৪ টি ইভেন্ট এ ১৪০ টি পুরস্কার বিতরণ
করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রায় ১৭০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেণ। নাচ, গান, কবিতা
আবৃত্তিসহ বিভিন্ন আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতা শেষে বিকেল বেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বক্তারা এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন এবং তাদের পড়াশোনার
পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেছেন,
কিশোর-কিশোরীদের চিন্তার বিকাশ ও তাদের অগ্রসরতাকে সফল করার জন্য নিরাপদ
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য আমরা এ কর্মসূচিকে ধন্যবাদ জানাই।

আমরা মনে করি, কিশোর-কিশোরীদের জীবনমানের উন্নয়নে এ ধরনের মেলার আয়োজন
বেশি বেশি করে করা উচিত। কৈশোরকালে মানবজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ
সময় কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। কিন্ত সঠিক জ্ঞানের
অভাবে তাদের প্রয়োজন জীবনদক্ষতা বৃদ্ধির ওপর প্রশিক্ষণ। বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং,
যৌতুক, লিঙ্গবৈষম্য, নারীর প্রতি সহিংসতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে ইত্যাদি
সমাজের নেতিবাচক বিষয়গুলো প্রতিরোধে দক্ষতা বৃদ্ধির শিক্ষা দেওয়া হয় এ ধরনের
উদ্যোগকে জীবনমান উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করছে। তাই পুরো দেশকে সুস্বাস্থ্যের
অধিকারী দেখতে হলে সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে আরও তৎপর হতে হবে।
উল্লেখ্য, বরাবরই ‘সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় সব বয়সী মানুষদের বিনোদন মুখী করতে
এবং কিশোর-কিশোরীদেরকে নিয়ে “কৈশোর মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান” উৎসব
মুখর পরিবেশে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com