ধীরে ধীরে দারুণ জমে উঠছে আইপিএলের প্লে-অফের সমীকরণ। ১০ দলের টুর্নামেন্ট থেকে সবার আগে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে একসময়ের দাপুটে দল চেন্নাই সুপার কিংসের। পরে বিদায় নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। প্লে-অফে ৪টি জায়গার লড়াইয়ে বর্তমানে টিকে আছে ৭টি দল। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। প্লে-অফের দৌড়ে তারাই সবচেয়ে এগিয়ে। প্লে-অফ পুরোপুরি নিশ্চিত করতে এখন আর একটি জয় দরকার ব্যাঙ্গালুরুর। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও ২ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলেই কেবল পাঁচ দল ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারবে। পয়েন্ট সমান হলে যেহেতু বেশি জয় পাওয়া দল যাবে প্লে-অফে, সেক্ষেত্রে ১৮ পয়েন্ট পেলেও ৯ জয় নিয়ে প্লে-অফে চলে যাবে আরসিবি। তবে বাকি সব ম্যাচ হারলেও অন্য ম্যাচের ফল পক্ষে আসলে প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ থাকবে আরসিবির। শীর্ষ দুই নিশ্চিত করতে হলে জিততে হবে বাকি ৩ ম্যাচেই। কারণ ২০ পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে ৩ দলের।

পাঞ্জাব কিংস
১১ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া পাঞ্জাব কিংস আছে দ্বিতীয় স্থানে। বাকি ৩ ম্যাচের মধ্যে ২ জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে পাঞ্জাবের। তবে কোনো জয় পেলেও প্লে-অফে যেতে পারবে তারা, সেক্ষেত্রে নিজেদের পক্ষে আসতে হবে অন্য ম্যাচের ফল। বাকি ৩ ম্যাচের ৩টিতেই জিতলে শীর্ষ দুইয়ে থেকে চলে যাবে প্লে-অফে।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পাওয়া মুম্বাইয়ের নেট রান রেট সবচেয়ে ভালো। বর্তমান অবস্থা থেকে আরও ২টি জয় পেলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্বের খেলা শেষ করবে মুম্বাই, নিশ্চিত করে ফেলবে প্লে-অফে খেলা। ১ জয়ে ১৬ পয়েন্ট পেলেও যাওয়ার সুযোগ থাকবে তবে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আর যাওয়া যাবে না। শেষ ৩ ম্যাচে ৩ জয়ে ২০ পয়েন্ট তুলতে পারলে ভালো নেট রান রেটের কারণে শীর্ষ দুই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে মুম্বাইয়ের।

গুজরাট টাইটান্স
১০ ম্যাচ খেলে ৭ জয়ের ফলে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে টেবিলের ৪ নম্বরে আছে গুজরাট। নেট রান রেটে মুম্বাইয়ের পরেই আছে তারা। বাকি ৪ ম্যাচের মধ্যে ২ জয় পেলেই প্লে-অফের টিকিট কেটে ফেলবে গুজরাট। ১ জয় পেলেও সুযোগ থাকবে। তবে বাকি ৪ ম্যাচের সবগুলো হারলে বিদায় নিশ্চিত।

দিল্লী ক্যাপিটালস
১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট তুলে টেবিলের ৫ম স্থানে রয়েছে দিল্লী ক্যাপিটালস। পরের ৩ ম্যাচের সবগুলো জিতে ১৯ পয়েন্টে যেতে পারলে প্লে-অফের টিকিট কাটতে পারবে দিল্লী। ১৫ এবং ১৭ পয়েন্টে গেলেও সুযোগ থাকবে, সেক্ষেত্রে অন্য ম্যাচের ফল আসতে হবে নিজেদের পক্ষে। শেষ ৫ ম্যাচের মধ্যে কেবল ১ ম্যাচ জিতেছে টানা ৬ জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা দিল্লী।

কলকাতা নাইট রাইডার্স
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের এবারের মৌসুমটা ভালো যাচ্ছে না। ১১ ম্যাচ খেলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের ৬ষ্ঠ স্থানে। বাকি ৩ ম্যাচে ৩ জয়ের ফলে সর্বোচ্চ ১৭ পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে পারবে কেকেআর। সুযোগ থাকবে ১৫ পর্যন্ত যেতে পারলেও। তবে উভয়ক্ষেত্রেই নেট রান রেট এবং অন্য ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে আসতে হবে।

লক্ষ্নৌ সুপারজায়ান্টস
টেবিলে এরপরের জায়গাটা লক্ষ্নৌ সুপারজায়ান্টসের। ১১ ম্যাচে লক্ষ্নৌ পেয়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি ৩ ম্যাচে ৩ জয়ে ১৬ পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে পারলেও প্লে-অফের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে না। অন্য ম্যাচের ফলের পাশাপাশি নেট রান রেটও বিবেচনায় আসবে। সর্বশেষ ৩ ম্যাচের ৩টিতেই হারা লক্ষ্নৌর পক্ষে নেই ফর্মও। আর এক ম্যাচ হারলেই বিদায় নিশ্চিত হবে তাদের।