সর্বশেষ :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ওয়াক্ফ মামলার শুনানি ১৫ মে, দায়িত্বে থাকবেন নতুন প্রধান বিচারপতি

প্রতিনিধি: / ৯৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বিতর্কিত ওয়াক্ফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা ঘিরে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার পরবর্তী শুনানি এখন নির্ধারিত হয়েছে আগামী ১৫ মে। এই মামলাগুলির শুনানি করবেন সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি বিচারপতি বি আর গাভাই। বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সময়ের অভাবে নিজ বেঞ্চে আর শুনানি চালিয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
সোমবার শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি খান্না স্পষ্টভাবে জানান, মামলাগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের দাখিল করা হলফনামা এবং আবেদনকারীদের জবাবি বক্তব্য তিনি পর্যালোচনা করলেও, সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে খুঁটিয়ে বিচার করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি তিনি কোনো রায় বা অন্তর্বর্তী নির্দেশও জারি করতে চাননি। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দ্রুত শুনানি প্রয়োজন, কিন্তু সেটি তাঁর নেতৃত্বে সম্ভব নয়। এই কারণেই তিনি মামলাটি বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ১৩ মে অবসর নিচ্ছেন এবং পরদিন, ১৪ মে বিচারপতি গাভাই ৫২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন। বিচারপতি গাভাই হবেন ভারতের দ্বিতীয় তফসিল জাতিভুক্ত প্রধান বিচারপতি। এর আগে বিচারপতি কে জি বালাকৃষ্ণান ছিলেন প্রথম।
ওয়াক্ফ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ইতোমধ্যেই শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান বিচারপতি খান্নার বেঞ্চ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা বাছাই করে জানিয়েছিলেন, অন্য মামলাগুলিও এতে একত্রিত হতে পারে। নতুন মামলা আপাতত গ্রহণযোগ্য নয়। এপ্রিলের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছিলেন, নতুন আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ওয়াক্ফ সম্পত্তিতে কোনো রকম বদল আনা হবে না এবং ওয়াক্ফ কাউন্সিল বা বোর্ডে নতুন নিয়োগও স্থগিত থাকবে। সেই অনুযায়ী হলফনামা জমা দিতে কেন্দ্রকে সময় দেওয়া হয় সাত দিন এবং আবেদনকারীদের জবাব জমা দেওয়ার সময় ছিল আরও পাঁচ দিন।
এদিন, শুনানির তৃতীয় ধাপে প্রধান বিচারপতি খান্না আদালতকে জানান, মামলার জটিলতা, হলফনামায় উল্লিখিত বিতর্কিত সংখ্যা ও নিবন্ধন সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণের জন্য যথেষ্ট সময় প্রয়োজন। তাই যৌক্তিক কারণেই মামলা পরবর্তী প্রধান বিচারপতির বিচারাধীন হবে।
বিচারপতি গাভাই ইতিমধ্যেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সম্প্রতি তিনি ‘বুলডোজার নীতি’র কড়া সমালোচনা করে এটিকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন। এছাড়া তিনি সুপ্রিম কোর্টের সেই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন, যাঁরা ইলেকটোরাল বন্ড নিয়ে সরকারের নীতিকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
এই সব প্রেক্ষাপটে ওয়াক্ফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা সংক্রান্ত মামলাগুলির পরবর্তী পরিণতি বিচারপতি গাভাইয়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট কী সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকেই এখন দৃষ্টি দেশজুড়ে।


এই বিভাগের আরো খবর