সর্বশেষ :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০৯ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

৪ দফা দাবিতে সোহরাওয়ার্দীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

প্রতিনিধি: / ১১৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ৪ দফা দাবিতে শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ শুরু করেছে। সমাবেশটি চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সমাবেশে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা বাসে ও পায়ে হেঁটে সমাবেশে আসেন। সকাল থেকেই কোনো মিছিল আসতে শুরু করে শাহবাগের দিক থেকে, কোনোটি দোয়েল চত্বরের দিক থেকে, আবার কোনোটি আসে নীলক্ষেতের দিক থেকে। সমাবেশে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের ভিড়ে ভোর থেকে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত হয়ে থাকে।

হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, ‘আজকের মহাসমাবেশের মুখ্য দাবি মূলত চারটি। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা দেশে হেফাজত নেতাদের নামে প্রায় ৩০০টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার। এরপর যথাক্রমে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিগুলো থাকবে।’

সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদ বিন হোসাইন বলেন,

“হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা পবিত্র কোরআনবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড রুখতে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত। আজকের সমাবেশ তারই প্রমাণ। অবিলম্বে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিল করতে হবে।”

এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলেন, ‘সমাবেশ উপলক্ষ্যে তার মাদ্রাসায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই মাদ্রাসার কাফিয়া শ্রেণি থেকে দাওরায়ে হাদিস শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সব শিক্ষার্থী সমাবেশে এসেছেন বলে জানান তিনি।’

সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। এতে সভাপতিত্বে করছেন হেফাজতের আমির মাওলানা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরী।

এর আগে শুক্রবার (২ মে) হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে আমাদের অনেক মা-বোন তাদের সন্তান ও ভাইদের সঙ্গে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। রাষ্ট্র সংস্কারে তাদেরও হক রয়েছে। কিন্তু ঔপনিবেশিক মানসিকতা ও পশ্চিমা এজেন্ডা নিয়ে নারীবাদীরা কমিশন দখল করে ইসলামবিরোধী প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এরা এ দেশের ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের শত্রু। কথিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যৌনকর্মীকে ‘শ্রমিক’-এর মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব করে মূলত নারীর মর্যাদাহানি করেছে।


এই বিভাগের আরো খবর