সংশোধন প্রক্রিয়ায় থাকা শ্রম আইনে অনেক পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন । তবে এ আইনে কি পরিবর্তন আসছে এবং কবে নাগাদ আইনে চূড়ান্ত হয়ে আসবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে চাননি। বুধবার সবিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘মহান মে দিবস’ এবং ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ কথা জানান। সংশোধন পর্যায়ে থাকা শ্রম আইন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে। কী আসছে সেটা বলতে গেলে আমাকে এখন থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লাগবে। এ আইনটি কবে নাগাদ আসবে জানতে হলে তিনি বলেন, কবে নাগাদ এটা দেখতে থাকেন। তিনি আরও বলেন, সময় নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। শ্রম আইন নিয়ে পরে বলব। অনেক পরিবর্তন আছে, অনেক, এখনো কিছু পাকাপোক্ত হয়নি, অনেক পরিবর্তন আছে । ত্রিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে, আলোচনায় যেসব প্রস্তাব আমরা পেয়েছি, যেগুলো গ্রহণ করেছি সেগুলো আইএলওকে বলা হয়েছে, আরো কিছু আছে, এ যে সংস্কার কমিশন আছে। কোনো জিনিসেরই টাইমলাইন দিতে নেই। টাইমলাইন দিলাম হলো না, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, আমারও তো একটা ইচ্ছা আছে যে আমি থাকতে থাকতে পাকাপোক্ত করে যাই। ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার এবং শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা। তিনি বলেন, এবার মহান মে দিবস বড় পরিসরে করা হচ্ছে। শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকদের যে গ্যাপটা, এই গ্যাপটা, বিরোধটা আমরা কমাতে চাচ্ছি। আমাদের অনেক ভালো ভালো মালিক আছেন, সবাই একরকম নন। কিছু জায়গায় তাদের উদ্দেশ্যে মনে হয় যে একটা কিছু করে টাকা-পয়সা নেওয়া, টাকা-পয়সার মালিক হওয়া। আপনারা জানেন যে সংস্কার কমিশন কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে, আমরা এগুলো দেখবো। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে কীভাবে শ্রমিকদের মান উন্নয়ন করা যায়। প্রতিদিনই যে সমস্যার মুখোমুখি হই, সেগুলো সমাধান করতে করতে সময় চলে যায়। আমি বলবো মে দিবস করার উদ্দেশ্যটাই হলো, আমাদের সচিব বলেছেন, এটা শ্রমিকদের জন্য ঈদ। সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে যেন মানবাধিকার এবং শ্রমিক অধিকার সমুন্নত থাকে। আমি নিজেও আইএলও-তে গিয়ে এই কথাগুলো বলেছি। এজন্য শ্রমিকের সহযোগিতা দরকার, মালিকের সহযোগিতা দরকার এটা শুধু শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। সব মন্ত্রণালয় মিলে যেন একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারি, এজন্য একটি টিম করা উচিত। আমরা কর্মসংস্থান উইং তৈরির চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশ আমেরিকান টোব্যাকো নিয়ে আমি কথা বলেছি। আশা করি তারাও আইনের আওতায় আসবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে দেখেছি একটা স্লোগান ছিল, বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক ও বামপন্থী ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ এবং একটি হাতুড়ির প্রতীক ছিল। আমার মনে হতো দুনিয়ার মধ্যে রেখে হাতুড়ি দিয়ে পেটাপেটি করবে। আমরা ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ বলবো না, বলবো ‘দুনিয়ার মজদুর-মালিক এক হও।’ এবার আমাদের স্লোগান হচ্ছে, শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়বো এ দেশ নতুন করে।