নেত্রকোনায় ছাত্রলীগ বন্ধুর বাগদত্তাকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় (২৬) নামে ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ফয়সাল জেলার দূর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং উপজেলার চণ্ডিগর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। বুধবার সকালে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ওসি জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিরিশিরি এলাকার এক রিসোর্ট থেকে অনৈতিক কাজে (ধর্ষণ) লিপ্ত থাকা অবস্থায় ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় রিসোর্টে দায়িত্বরত আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর হবু স্বামী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মো. মুন্না মিয়া ও ভুক্তভোগীসহ সবাইকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়ের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকালে ভুক্তভোগীর হবু স্বামী মুন্না মিয়া দুর্গাপুর ঘুরতে নিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে সেখানকার বিরিশিরি রিসোর্টে রুম ভাড়া নিয়ে রাত্রিযাপন করেন তারা। পরে গত মঙ্গলবার দুপুরে মুন্না ব্যক্তিগত কাজে শহরে যান। কিছুক্ষণ পর দরজায় শব্দ পেয়ে ভুক্তভোগী তার স্বামী এসেছেন ভেবে দরজা খোলেন। তখন তিনি ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে দেখতে পান। দুর্জয় তার হবু স্বামী মুন্নার বন্ধু হওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিচিত ছিল। কথা বলার জন্য তখন দুর্জয় রুমের ভেতরে যান। কথা বলার একপর্যায়ে দুর্জয় তাকে ঝাপটে ধরেন এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বুধবার সকালে দুর্জয়কে আদালতে সোপর্দ করা হবে। অন্য আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে গত মঙ্গলবার রাতেই বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।