বস্ত্রকলগুলোতে গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এ খাতের শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে লেখা এক চিঠিতে গত রোববার এ আহ্বান জানান সংগঠনের সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ খাতে বাড়িয়েছে। এ কারণে নোমান গ্রুপের ২৮টি কারখানার অধিকাংশেরই উৎপাদন প্রায় বন্ধ। গ্রুপের বাকি কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্নকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস সংকটের কারণে মিলগুলো কাঙ্খিত উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। এ কারণে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের বস্ত্র সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বস্ত্রকলগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। পেট্রোবাংলার ওয়েবসাইট থেকে তিতাসের গ্যাস সরবরাহের একটি চিত্র তুলে ধরা হয় চিঠিতে। এতে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল সময়ে তিতাস গ্যাস শিল্প খাতে দৈনিক ১০ কোটি ঘনফুট কম গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ একই পরিমাণ অর্থাৎ, ১০ কোটি ঘনফুট বেশি সরবরাহ করা হয়েছে। তথ্যমতে, ঢাকা মহানগরীতে আবাসিক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা হয়। অথচ শিল্প খাতে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না কমিয়ে যদি ১২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো তাহলে শিল্প কারখানাগুলো ন্যুনতম চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হতো। গ্যাস সরবরাহে এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বস্ত্রকলগুলোর উৎপাদন কমে এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আগামী ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিয়ে সংকট এবং শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কাও রয়েছে। এ অবস্থায় তিতাস গ্যাস কর্তৃক শিল্প খাতে প্রাপ্যতার ভিত্তিতে যৌক্তিক অনুপাতে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিঠির একটি অনুলিপি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানকেও দেওয়া হয়।
https://www.kaabait.com