রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ডিম আমদানি করছে

প্রতিনিধি: / ৯১ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

বিদেশ : তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ডিম আমদানি করার পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শুধু তাই নয়, মার্কিন ভোক্তাদের জন্য ডিমের সর্বোচ্চ দামের চাপ কমাতে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। হোয়াইট হাউজে মার্কিন কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রোলিন্স সাংবাদিকদের বলেন, স্বল্পমেয়াদে আমরা শত শত মিলিয়ন ডিম আমদানি করব। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মূল্যহ্রাসের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও গত এক বছরে ডিমের দাম ৬৫% এর বেশি বেড়েছে। ২০২৫ সালে আরও ৪১% বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তবে ডিম আমদানির এই ঘোষণা এমন সময় এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়া বার্ড ফ্লু মোকাবিলায় এক বিলিয়ন ডলারের (৭৯২ মিলিয়ন পাউন্ড) একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রশাসন। ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন কৃষি বিভাগ ডিমের মূল্য নিয়ন্ত্রণে পাঁচ দফার একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করে, যার বাজেট এক বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থার জন্য, ১০০ মিলিয়ন ডলার ভ্যাকসিন গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য এবং ৪০০ মিলিয়ন ডলার কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। বার্ড ফ্লুর কারণে ইতোমধ্যে মার্কিন কৃষকদের কোটি কোটি মুরগি মারতে বাধ্য হতে হয়েছে। রোলিন্স জানান, তার বিভাগ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে নতুন ডিম সরবরাহ নিশ্চিত করতে। তবে তিনি নির্দিষ্ট কোনও অঞ্চলের নাম উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, যখন আমাদের মুরগির সংখ্যা পুনরায় বাড়বে এবং ডিম উৎপাদন শিল্প পুরোপুরি সচল হবে, তখন আমরা আমাদের নিজস্ব উৎপাদিত ডিম বাজারে নিয়ে আসতে পারব। আশা করি কয়েক মাসের মধ্যেই ডিম উৎপাদন স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার পোলট্রি সংগঠনগুলো বলেছে যে, মার্কিন দূতাবাসগুলো তাদের সম্ভাব্য ডিম রপ্তানি নিয়ে যোগাযোগ করেছে। বার্ড ফ্লু বহু বছর ধরে মার্কিন পোলট্রি খাতে বিদ্যমান থাকলেও, ২০২২ সালে শুরু হওয়া একটি ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের ফলে প্রায় ১৫৬ মিলিয়ন মুরগীকে হত্যা করতে বাধ্য হয়। তখন ডিমের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। মার্কিনিদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে, গত বছরের নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্প ডিমের উচ্চমূল্যকে প্রধান ইস্যু হিসেবে তুলেছিলেন। এই মাসের শুরুর দিকেও কংগ্রেসে দেওয়া এক ভাষণে, তিনি ডিমের উচ্চমূল্যের জন্য তার পূর্বসূরি জো বাইডেনকে দায়ী করেন। বাইডেন প্রশাসনের সময়, বার্ড ফ্লুর কারণে লাখ লাখ ডিম পাড়া মুরগিকে নিধন করা হয়, যা ডিমের দামে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকেও দাম বেড়েই চলেছে।


এই বিভাগের আরো খবর