• সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ১১:৫৯

মাছ ও মুরগির দামে অস্বস্তিতে ক্রেতা,দাম কমেছে সবজির

প্রতিনিধি: / ৫৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫

সরবরাহ বাড়ায় চলতি সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে নতুন আলু ও পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নগরবাসীর। এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে মাছ ও মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। তবে দাম কমলেও মাছ ও মুরগি মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় বাজারে সবজির দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে। এসব বাজারে শিম ১৫ থেকে ৪০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা পিস, বাঁধা কপি বড় সাইজের ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, পাকা টমেটো কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা কেজি ২০ টাকা, খিরাই ৪০ টাকা এবং শশা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে সবজির দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে মাছ ও মুরগির বাজার চড়া থাকলেও সবজি কিনে স্বস্তি মিলছে বলে তারা উল্লেখ করেন। এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা ১০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ১৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে লালশাক ১০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, পালংশাক ১০ টাকা, কলমিশাক তিন আঁটি ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা এবং ডাটাশাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে। পুরাতন আলু ৫০ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০০ টাকা, মুড়ি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে আদা ১২০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৮ থেকে ৮৬ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে সোনালি ও কক মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ৩৪০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগি ১০ টাকা কমে ২০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩০ টাকা কমে ৫২০ টাকা করে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মনিটরিংয়ের অভাবে মুরগি ও মাছের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন ক্রেতারা। তাদের মতে প্রতি সপ্তাহে মুরগির দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত পরিবার মাছ ও মাংস তালিকা থেকে হারিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়া বাজারে বাজার করতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবুল কাশেম জানান, সবজি কিনে স্বস্তি ফিরলেও মাছ ও মাংসের বাজারে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে এতে করে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেনু থেকে মাছ ও মাংস হারিয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার চড়া রয়েছে। এসব বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ১৭০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে চাষের এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা , মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বড় বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কুড়াল মাছ ৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

 

 


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com