বিদেশ : ২০২৪ সালে জার্মানির গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস পেয়েছে। যদিও তা আগেকার বছরগুলোর তুলনায় এই কমার গতি ধীর ছিল। শিল্প ও গৃহস্থালিতে সবুজ বিনিয়োগের ঘাটতির কারণে এই ধীরগতি দেখা গেছে। জার্মানির সরকার এবং পরিবেশবিদরা এই ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আগামী বছরগুলোতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি গবেষণায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এএফপির এক প্রতিবেদন আজ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি ২০২৩ সালে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে ১০ শতাংশ হ্রাস দেখেছিল। সেখানে ২০২৪ সালের এই হ্রাসের হার ছিল মাত্র তিন শতাংশ। ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের এই গতিকে ‘উল্লেখযোগ্য ধীরগতি’ বলে জানিয়েছে আগোরা এনার্জিওয়েন্ড নামের জ্বালানিবিষয়ক গবেষণা সংস্থা। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, শিল্প খাতে সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না থাকায় পরিবেশ সুরক্ষায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সম্ভব হয়নি। ২০৪০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর পরিকল্পনা ইইউয়ের। ইউরোপীয় কমিশন গত বছরের ফেব্রæয়ারিতে এক বিবৃতিতে সুপারিশ করে, ২০৪০ সালের মধ্যে ইইউয়ের নেট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ১৯৯০ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশ কমাতে হবে, যা ২০৫০ সালের মধ্যে ইইউকে কার্বন-নিরপেক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে। একইসময়ে ইউরোপীয় কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন জানায়, ২০৫০ সালের মধ্যে ইইউর কার্বন-নিরপেক্ষতা অর্জনের সম্ভাব্য উপায়গুলো পর্যালোচনা করা হয়। এ মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে, ইউরোপীয় কমিশন একটি ‘২০৪০ জলবায়ু লক্ষ্য’ প্রস্তাব করে।
https://www.kaabait.com