সর্বশেষ :
ফুলে ফুলে ভরে উঠল জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বীর শহীদদের শ্রদ্ধায় মানুষের ঢল নিরাপত্তা শঙ্কায় ভোটের মাঠ ছাড়লেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিংয়ের বিশ্বরেকর্ড বাংলাদেশের বিজয় দিবসে মোদি ও রাহুলের পোস্ট, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অনুপস্থিত বাংলাদেশের নাম তেজগাঁওয়ের আকাশে নজরকাড়া এয়ার শো পিরোজপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাগেরহাটে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন বিজয় দিবসে মোরেলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সংবর্ধনা  বাগেরহাটে প্রথম মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের প্রার্থী রাহাদ।। মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবসে   জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪২ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

আদালতের ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি গায়েব!

প্রতিনিধি: / ১৮০ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫

চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দায় রাখা হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথি (কেস ডকেট বা সিডি) গায়েব হয়েগেছে। রোববার এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া।

গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিগুলো এত দিন বারান্দায় কেন রাখা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, আমি কিছুদিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে।

জানা যায়, কোতোয়ালি মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয় অবস্থিত। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। আশপাশে অন্য বিচারকের এজলাস। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণে মুখর থাকে আদালত ভবন। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা। পিপির কার্যালয়ের সামনে আদালতের বারান্দা থেকে ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্মিত আইনজীবীরা।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিচারিক কাজে সিডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগপত্রের সঙ্গে আদালতে সিডি জমা দিতে হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিডিতে মামলার ধারাবাহিক অগ্রগতির বিবরণ লিখে রাখেন। তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন হলে নতুন কর্মকর্তাও একই সিডিতে বিবরণ লেখেন। সে অনুযায়ী আদালতে সাক্ষ্য দেন। সিডি থাকলে ৫ থেকে ১০ বছর পরও সাক্ষ্য দিতে সুবিধা হয়। নইলে মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এগুলো গায়েব করার পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা বের করতে হবে। আসামিরা মামলা থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য এ কাজ করতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।

কোতয়ালি থানায় করা জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।


এই বিভাগের আরো খবর