বাগেরহাট প্রতিনিধি: পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বাগেরহাটে গভীর রাত থেকেই শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে।
বৃষ্টি ও শীতের তীব্রতায়ও মোংলা বন্দরে বিদেশী জাহজে পন্য ওঠা নামা স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরে আজ শনিবার (২১ডিসেম্বর) অবস্থন করা ১৫টি বিদেশী জাহাজ থেকেই পন্য ওঠা নামার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ)মোঃ মাকরুজ্জামান। অপর দিকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারনে রাত থেকেই মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ২/১ দিনের মথ্যেই আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেও শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ হারুন অর রশিদ।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক ও ভ্যানচালকদের কাজ করতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। শহরের মূল বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কমে যাওয়ায় অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও বিপাকে পড়েছেন।
রিকশাচালক মালেক ইসলাম বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ভিজে ভিজে রিকশা চালাচ্ছি, কিন্তু যাত্রীও কম। দিনে যা আয় করি, আজ তার অর্ধেকও হবে না। তার পরে সকালে আছে কিস্তির চাপ। কি হবে জানিনা। ভ্যানচালক মজিদ মিয়া বলেন, বৃষ্টিতে কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জমে যাচ্ছে। ঘরে ছেলে-মেয়েরা বসে আছে, তাদের জন্য কাজ করতেই হবে।
স্থানীয় কৃষক আবদুল গফুর বলেন, ধান শুকানোর সময় চলছে। এখন ধান ভেজা থাকলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। কিছু দিন রোদ না পেলে বড় ক্ষতি হবে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহ-নেওয়াজ খান সজিব বলেন, এই মুহুর্তে বৃষ্টি হলে ধানের বেশ ক্ষতি হবে। তবে আবহওয়া ভালো হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ভোর রাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাগেরহাটে ১.২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।