মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জি.বি আমেনা খাতুন বালিকা দাখিল মাদ্রসার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সুপার মাওলানা ইব্রাহিম খানকে ষড়যন্ত্র মূলক হয়রানী ও শারিকিভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটেচছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে ফেরদৌস খান বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের গোদাড়া-বড়বাদুরা এলাকায় ১৯৮৬ সালে ইব্রাহিম খান ও তার বোনের .৩৯ শতক দানকৃত জমিতে তার মায়ের নামে জিবি আমেনা বালিকা দাখিল মাদ্রসাটি প্রতিষ্ঠা করে সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন। ২০২৩ সালে তিনি অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন একেএম আলী হায়দার হাওলাদার। এর পর থেকেই মাদ্রসায় শুরু হয় নানা ধরণের অনিয়ম, দুর্ণীতি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিলের নামে ও বার্ষিক পরিক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটে। এ ধরনের অনিয়মের প্রতিবাদ করলে ভারপ্রাপ্ত সুপারের ষড়যন্ত্র ও রোশানালে পড়েন প্রতিষ্ঠাতা সুপার মাওলানা ইব্রাহিম খান। যার অংশ হিসেবে সম্প্রতি মাদ্রসায় পরীক্ষা চালাকালে শিক্ষার্থীদের দিয়ে একটি মানববন্ধন করিয়েছে।

এছাড়াও মাদ্রসার একই দাগে থাকা ইব্রাহিম খানের ব্যক্তিগত জমিতে তারই ছেলে ফেরদাউস খানের ২০-২৫ বছর ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকান ঘরে ৪ ডিসেম্বর সংস্কার কাজ চলাকালীণ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার আলি হায়দার লোকজন নিয়ে বাক বিতন্ডা করে এক পর্যায়ে সাবেক সুপার বৃদ্ধ ইব্রাহিম খানকে লাঞ্চিত ও মারপিট করে বলেও অভিযোগে উল্লখ করা হয়েছে।

এ বিষয় জিবি আমেনা খাতুন বালিকা দাখিল মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত সুপার একেএম আলি হায়দার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাবেক সুপার ইব্রাহিম খান নিজের অপরাধ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্য নানা ধরণের মিথ্য ও ষড়যন্ত্রের আশ্যয় নিয়েছেন।