
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি: কুতুবদিয়ায় মা-বোনকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের বশির উল্লাহ সিকদার পাড়ায়।
নির্যাতিত মা জয়নাব বেগমের অভিযোগ, তার ছেলে ইব্রাহিম চৌমুহনী বাজারের খুচরা ডিলার। নিজের টাকা দিয়ে ছেলেকে ব্যবসা ধরিয়ে দিয়েছেন। বেশ কিছুদিন আগে গোপনে বিয়ে করে বউ নিয়ে আসলে তিনি প্রথমে মেনে নেননি। পরে মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে পারিবারিকভাবে বউকে ঘরে তুলেন। এর কিছুদিন না যেতেই মা-বোনের উপর অত্যচার শুরু করে ছেলে।
ছোট বোনের সাথে ভাবির ঝগড়ার রেষ ধরে মা-বোনকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। ঘরে ঢুকতে না পেরে মা-মেয়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেন। গত ২৫ দিন যাবত মা-মেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত মা আদালতের আশ্রয় নিলে আদালত প্রথমে মায়ের সাথে আপোষ করে মা’কে ঘরে নিয়ে যেতে বলেন। এ সুযোগে দুইদিনের দিনের জামিন পায় ছেলে। তারপরও কুলাঙ্গার পুত্র মায়ের হাত ধরতে রাজি হয়নি। পরে আদালত মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে বখাটে ছেলেকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে ছেলের কষ্টের বিষয়টি বিবেচনা করে গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে জামিনের আবেদন করেন মা। বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে ইব্রাহিম আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। প্রাণনাশের হুমকিসহ মানহানিকর গালিগালাজ করছে প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, আমার ছেলে এমন ছিল না। বাড়িতে বউ নিয়ে আসার পর থেকেই নির্যাতন শুরু করেছে। এলাকার উশৃংখল ছেলেদের সাথে মিলে অবৈধ কোন কিছু করছে বলে মনে করছেন তিনি। ছেলের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন নির্যাতিত এই মা।
এ বিষয়ে ইব্রাহিমের নানা বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমার মেয়েকে যাবতীয় সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমার নাতি নাতিনদের অভাব বুঝতে দেইনি। আমার নাতি তার মা-বোনকে মেরে তাড়িয়ে দিলে তারা আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এখানেো তারা শান্তিতে থাকতে পারছে না। ইব্রাহিম আমার বাড়িতে এসে আমাকেসহ তার মা-বোনকে অকথ্য ভাষায় মানহানিকর গালিগালাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
মামলার আইনজীবি আইয়ুব হোছাইন জানান, আদালতে মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপোষের শর্তে ছেলেকে জামিন দিয়েছে আদালত। এখন ছেলে আপোষ না করলে বাদী স্বাক্ষী সহকারে চাইলে জামিন বাতিলের আবেদন করতে পারবেন।
এব্যাপারে ইব্রাহিম মনিরের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে দেখা করবেন বলে মোবাইল কেটে দেন।