সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ গায়কোয়াড়ের মৃত্যু

প্রতিনিধি: / ২১০ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪

স্পোর্টস: ব্লাড ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে হার মানলেন আনশুমান গায়কোয়াড়। ৭১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট ও ১৫টি ওয়ানডে খেলেন গায়কোয়াড়। এরপর জাতীয় দলের কোচ ও নির্বাচক হিসেবেও কাজ করেন ১৯৫২ সালে তৎকালীন বোম্বেতে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটার। গত জুন পর্যন্ত লন্ডনে হচ্ছিল গায়কোয়াড়ের চিকিৎসা। কিন্তু অতিরিক্ত খরচের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছিল না তার পরিবার। তখন এগিয়ে আসে বিসিসিআই। তার চিকিৎসার জন্য এক কোটি ভারতীয় রুপি সহায়তা দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। লন্ডনের চিকিৎসা পর্ব শেষে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয় গায়কোয়াড়কে। আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বারোদার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বুধবার মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০ টেস্টে ২ সেঞ্চুরি ও ১০ ফিফটিতে এক হাজার ৯৮৫ রান করেন গায়কোয়াড়। ১৫ ওয়ানডেতে এক ফিফটিতে তার সংগ্রহ ২৬৮ রান। ১৯৮৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে ৬৭১ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৩৬ বলে ক্যারিয়ার সেরা ২০১ রানের ইনিংস খেলেন গায়কোয়াড়। পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ের বিশেষ পারদর্শিতার কারণে আলাদাভাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকা টেস্টে সাড়ে ৭ ঘণ্টা ব্যাটিং করে তার ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংসটিও স্মরণীয়। মাইকেল হোল্ডিংয়ের বাউন্সারে সেদিন তার কানের পর্দা ফেটে যায়। ফলে অপারেশনও করাতে হয়েছিল। গতবছর প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থে ওই ইনিংসের বিশদ বর্ণনা দেন গায়কোয়াড়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৪ সেঞ্চুরি ও ৪৭ ফিফটিতে ১২ হাজারের বেশি রান করেন তিনি। ক্যারিয়ারের সবশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২১৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গায়কোয়াড়। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে দুই মেয়াদে জাতীয় দলের কোচিং করান গায়কোয়াড়। তার কোচিংয়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে ঐতিহাসিক ১০ উইকেট নেন আনিল কুম্বলে। ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের রানার্স-আপ হওয়ার সময়ও কোচ ছিলেন তিনি। এরপর অল্প কিছু দিনের জন্য কেনিয়া জাতীয় দলের দায়িত্বও নেন তিনি। ২০০৯ সালে পূর্ণ মেয়াদে চাকরির প্রস্তাব পেলেও ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে সেটি নেননি গায়কোয়াড়। ২০১৮ সালে বিসিসিআই তাকে কর্নেল সিকে নাইডু আজীবন সম্মাননা স্বীকৃতি প্রদান করে।

 

 


এই বিভাগের আরো খবর