বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

‘২০২৫ সালে বিদ্যুতে লোকসান বাড়বে ১৮ হাজার কোটি টাকা’

প্রতিনিধি: / ১৯৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

অর্থনীতি: সরকারের ভুলনীতির কারণে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) লোকসান ২০২৫ সাল নাগাদ ১৯৬ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার পরও এই লোকসান হবে। রোববার রাজধানীর মহাখালীতে ব্রাক ইন সেন্টারে এক আলোচনা সভায় এমনটি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। এসময় সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি খাতের বরাদ্দ টেকসই জ¦ালানি এবং জ¦ালানি রূপান্তরের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। মূল প্রবন্ধে উপস্থাপন করে তিনি বলেন, জ¦ালানি খাতের রূপান্তর ও টেকসই জ¦ালানি খাত নিশ্চিতে গ্যাস এবং বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে যৌক্তিক প্রাধিকার পুনঃনির্ধারণ করে বাজেটের বরাদ্দে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে এটা উচ্চাভিলাসী। ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, লোডশেডিং কমানো, বিদ্যুতের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা, এ খাতে ভর্তুকি কমানো ও জ¦ালানির জন্য আমদানি নির্ভরতা কমাতে অভ্যন্তরীণ গ্যাস আহরণের বিকল্প না থাকলেও জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উন্নয়ন ব্যয় প্রস্তাবিত বাজেটে কমানো হয়েছে। এ বরাদ্দ দিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬ গ্যাস ক‚প অনুসন্ধানের প্রতিশ্রæতি পূরণ সম্ভব না। আমরা মনে করেছিলাম সরকার জ¦ালানি আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। তা নয়, ব্যয়বহুল হলেও সরকার জ¦ালানি আমদানি করছে। গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়িয়ে বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়েছেন সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক। তিনি বলেন, বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে হবে। তবে দাম বাড়িয়ে নয়, বরং উৎপাদনে দক্ষতা নিশ্চিতের মাধ্যমে। এ অবস্থায় অভ্যন্তরীণ গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে গুরুত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ¦ালানির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে সিপিডি। বাজেটে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ট্যাক্স হলিডে পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছরে উন্নীত করা, ছোট আকারের সৌরভিত্তিক প্রকল্পগুলোতে শতভাগ শুল্ক মওকুফ এবং সৌর বিদ্যুৎ সম্পর্কিত উপকরণে করের হার কমানোর সুপারিশ করেন ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। আলোচনা সভায় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য একে আজাদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ হোসাইন, বুয়েটের অধ্যাপক ও জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম তামিম, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ¦ালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি অধ্যাপক ও জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


এই বিভাগের আরো খবর