বিদেশ : ইকুয়েডরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সমুদ্রসৈকতঘেঁষা এক পর্যটন এলাকায় ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রিয় বোর্ডওয়াক এলাকায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হামলায় ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো তিনজন। নিহতদের মধ্যে মাত্র দুই বছর বয়সী একটি শিশুকন্যাও রয়েছে। দেশটির পুলিশ গত রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। হামলাটি ঘটে তিমি পর্যবেক্ষণের জন্য পরিচিত পর্যটন শহর পুয়ের্তো লোপেজে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, একটি ভ্যান ও দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা কয়েকজন বন্দুকধারী হঠাৎ বোর্ডওয়াক এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তাদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুধু এই হামলাই নয়—সপ্তাহজুড়ে শহরটিতে এটি ছিল তৃতীয় প্রাণঘাতী সহিংসতা। এসব ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়জনে। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা এখনো পলাতক এবং তাদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থেকেই এই হামলার সূত্রপাত হতে পারে। উল্লেখ্য, ইকুয়েডর বিশ্বের শীর্ষ কোকেন রপ্তানিকারক দেশ কলম্বিয়া ও পেরুর মাঝখানে অবস্থিত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দেশটিতে মেঙ্কিান ও কলম্বিয়ান কার্টেলের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গ্যাংয়ের সহিংসতা সামপ্রতিক বছরগুলোতে মারাত্মকভাবে বেড়েছে। সহিংসতা দমনে প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়ার নেওয়া কঠোর পদক্ষেপগুলো এখন পর্যন্ত তেমন ফলপ্রসূ হয়নি বলে বিশ্লেষকদের মত। জেনেভাভিত্তিক অর্গানাইজড ক্রাইম অবজারভেটরির তথ্য অনুযায়ী, ইকুয়েডরের পাড়া-মহল্লা ও জনসমাগমস্থলে হত্যাকাণ্ড ও সংঘর্ষ এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। চলতি বছরের শেষে দেশটিতে প্রতি এক লাখ বাসিন্দার বিপরীতে হত্যার হার দাঁড়িয়েছে ৫২টি, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সূত্র : দ্য স্ট্রেইট টাইমস