সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মেট্রোরেল প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল তিন বছর

প্রতিনিধি: / ২ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি লাইন ৬ এর ব্যয় কমলেও সময় বাড়ছে আরও তিন বছর। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ অংশের কাজের প্রয়োজনীয়তা, নতুন ট্রেন সেটের ওভারহলিং, এবং ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল সিস্টেমের অতিরিক্ত কাজের কারণে এই সময় বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) একনেক সভায় প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এতে মোট ব্যয় ৭৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা কমিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৭১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকায়।

২০১২ সালে প্রথম অনুমোদনে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে কমলাপুর অংশ যুক্ত হওয়ায় ২০২২ সালে এটি বেড়ে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় ওঠে। সর্বশেষ সংশোধনে সরকারের ব্যয় কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার ঋণ বেড়ে নির্ধারিত হয়েছে ২০ হাজার ১৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বলছে, প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না। ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপন, পরীক্ষামূলক চালনা, ত্রুটি শনাক্তকরণ সময়সীমা এবং নতুন ২৪টি ট্রেন সেটের বড় ধরনের ওভারহলিং সম্পন্ন করতে বাড়তি সময় প্রয়োজন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাদ দেওয়া স্টেশন প্লাজার কারণে ব্যয় হ্রাসের হিসাব। বিজয় সরণি, ফার্মগেট, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মতিঝিলের প্লাজা বাদ দেওয়ায় ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ব্যয় কমেছে ১ হাজার ২১১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। একই সঙ্গে সিভিল ওয়ার্ক এবং কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ কাজে আরও কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ।

মেট্রোরেল ৬ দক্ষিণের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আবদুল ওহাব জানান, পর্যালোচনায় দেখা গেছে বাদ দেওয়া স্টেশন প্লাজাগুলোর তেমন প্রয়োজন নেই। তার মতে, অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো বাদ দিলে পরিচালন ব্যয়ও কমে আসবে। গত নভেম্বরের শুরুতে পিইসি সভায় এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়, যার ভিত্তিতে পরিকল্পনা কমিশন সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদনের পক্ষে মত দেয়।

পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ বলেন, ঢাকায় পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মেট্রোরেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তার ভাষায়, যানজট নিরসনে মেট্রোরেল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। তাই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি সুফল বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, রোলিং স্টকস ও ইকুইপমেন্টে খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে ৫৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং জেনারেল কনসালট্যান্সি সার্ভিসে বাড়ছে ২২০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ই অ্যান্ড এম সিস্টেমে বাড়তি খরচ ২৮৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং ডিপো এলাকায় ৪৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

উত্তরা থেকে মতিঝিল অংশের কাজের অগ্রগতি এখন ৯৯ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। সংশোধিত মেয়াদ অনুযায়ী সব কাজ শেষ হলে ঢাকার গণপরিবহন কাঠামোয় মেট্রোরেল আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।


এই বিভাগের আরো খবর