মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক গৃহিনীকে ধর্ষণ শেষে মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগে জাহাঙ্গীর শেখ(৪৮) নামে এক কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে গতকাল শনিবার(৮ নভেম্বর) বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করেছে। সে জোকা গ্রামের মুনসুর শেখের ছেলে। জাহাঙ্গীর শেখ কবিরাজ পরিচয়ে জোকা গ্রামে ‘খানকায়ে কাদরিয়া’ নামে একটি দরবার খুলে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ঝাঁড়ফুক দিয়ে নানা রোগের চিকিৎসা করে আসছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কবিরাজ জাহাঙ্গীর গত ২৫ অক্টোবর দুপুরে এক গৃহিনীকে(৩০) চিকিৎসার নামে তার খানকার গোপন কক্ষে নিয়ে ধর্ষন করে। পরে চিকিৎসার অযুহাতে গৃহিনীর মাথার দুই পাশের কিছু চুলও কেটে রেখে দেয় সে। এ ঘটনায় ওই গৃহিনী শুক্রবার রাতে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি, খানকায়ে কাদরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা খাদেম ও কথিত কবিরাজ জাহাঙ্গীর শেখ ও তার ছেলে মহিউদ্দিনকে(২৫) গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে থানার ওসি মো. মতলুবর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ জাহাঙ্গীরকে এবং মারপিটের অভিযোগে একই মামলার আসামি মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার অপর এক আসামি পলাতক রয়েছে। নির্যাতিতা নারীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ কথিত ওই কবিরাজের খানকায় অভিযান চালিয়ে তার প্রতারণামূলক চিকিৎসায় ব্যবহৃত লাল কাপড়, মাদুলি, পশু-পাখির হাড়, চামড়া, হাতে লেখা তাবিজ, গোপন কক্ষে ধোয়া সৃষ্টির পাতিল, কড়ি ও নারীদের মাথা থেকে কেটে নেওয়া চুল ঊদ্ধার করেছে।