বিদেশ : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রোববার সংঘটিত ওই হামলায় অন্তত চারজন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, হামলা টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে। এতে একটি কার্ডিওলজি ক্লিনিক, একাধিক কারখানা ও আবাসিক ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া ৫৯৫টি ড্রোন এবং ৪৮টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী অন্তত ৫৬৮টি ড্রোন এবং ৪৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। সেনাবাহিনী বলেছে, হামলার মূল লক্ষ্য ছিল রাজধানী কিয়েভ। ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ, আকাশে ড্রোন এবং বিমান প্রতিরক্ষার গর্জনে কেঁপে ওঠে কিয়েভ। হামলার সাত ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে বিমান হামলার সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কিয়েভে এটিই অন্যতম সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হামলা। জরুরি সেবাদানকারী সংস্থা জানিয়েছে, দেশজুড়ে অন্তত চারজন নিহত এবং ৬৭ জন আহত হয়েছেন। কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর টকাচেঙ্কো জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১২ বছরের এক শিশুও রয়েছে, যদিও এটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের প্রতি রাশিয়ার জ্বালানি আয় বন্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান। জেলেনস্কি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখনও মস্কোর বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপে রাজি করানো যায়নি। জেলেনস্কি টেলিগ্রামে লিখেছেন, সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জি৭ ও জি২০-এর শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করি। গতকাল রোববারের হামলার সময় প্রতিবেশী পোল্যান্ডও আকাশপথ বন্ধ করে দেয় এবং বিমান বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দুটি শহরের আকাশসীমায় বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়, যতক্ষণ না বিপদ কেটে যায়। তথ্যসূত্র: রয়টার্স