বিদেশ : পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ এর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, “অপরিকল্পিত সামরিক কার্যক্রম” এর কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাশিয়া ইউক্রেনে নতুন করে হামলা চালানোয় পোল্যান্ড এবং মিত্রবাহিনীর যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। ন্যাটো ঘোষণা করেছে, বাল্টিক সাগরে তাদের মিশন আরও জোরদার করা হচ্ছে। সমপ্রতি ডেনমার্কে ড্রোন অনুপ্রবেশ এবং নরওয়েতে সন্দেহজনক ড্রোন দেখা দেওয়ার ঘটনায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরার। ইউক্রেন যুদ্ধে কূটনৈতিক সমাধান স্থবির হয়ে পড়ায় ইউরোপজুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে—সংঘাতটি আরও বিস্তৃত হয়ে মহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পোল্যান্ড জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলার পরপরই দেশটির আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। লুবলিন ও রেজশোভ শহরের আকাশসীমা স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ভোর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে বলে জানা গেছে। সমপ্রতি রাশিয়ার ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করলে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং ন্যাটো সেটি আটকায়। এটাই ছিল ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় ইউক্রেন আক্রমণের পর প্রথমবারের মতো পোল্যান্ড ও ন্যাটোর সরাসরি সামরিক সম্পৃক্ততা। ন্যাটো জানিয়েছে, তারা এখন বাল্টিক সাগরে একটি এয়ার-ডিফেন্স ফ্রিগেটসহ গোয়েন্দা, নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের সরঞ্জাম মোতায়েন করছে। ডেনমার্ক জানিয়েছে, সামপ্রতিক দিনে দেশটির সামরিক স্থাপনার কাছে অজ্ঞাত ড্রোন দেখা গেছে। এ ঘটনাকে “হাইব্রিড আক্রমণ” হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসেন। নরওয়ের ওয়েরল্যান্ড বিমান ঘাঁটির কাছে সন্দেহজনক ড্রোন দেখা গেছে বলে জানানো হয়েছে। একইভাবে জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য শ্লেসভিগ-হলস্টাইনে একটি “ড্রোন স্কোয়াড্রন” দেখা গেছে। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় ১০টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, সীমান্ত সুরক্ষায় তারা একটি “ড্রোন ওয়াল” গড়ে তুলতে চান। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জাতিসংঘে ভাষণে বলেন, “আমরা পশ্চিমা দেশগুলোকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করিনি, তবে উসকানি এলে শক্ত জবাব দেওয়া হবে।” এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইইউর ‘ড্রোন ওয়াল’ পরিকল্পনাকে “ইউরোপের রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার উদ্যোগ” বলে মন্তব্য করেছে।