বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

দেশে গ্যাস কূপ খননের গতি বাড়াতে বাপেক্সের জন্য কেনা হচ্ছে নতুন রিগ

প্রতিনিধি: / ৩৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দেশে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২৮ সালের মধ্যে মোট ৫২টি কূপ খনন ও ১৬টি কূপের ওয়ার্কওভার করবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির দুটি খনন রিগ ও দুটি ওয়ার্কওভার রিগ রয়েছে এবং একটি রিগ উন্নয়ন করা হয়েছে। ওই পাঁচটি রিগ দিয়ে বেশ কঠিন হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এতগুলো কূপ খনন করা। ওই কারণে নতুন ও উন্নত মানের রিগ ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাপেক্সের মেশিনগুলো অনেক পুরনো ও অদক্ষ হয়ে পড়েছে। নতুন রিগ ও নতুন যন্ত্রপাতি কেনা হলে বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়বে। ফলে ২০৩০ ও ২০৪১ সাল পর্যন্ত কূপ খনন, উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সহজ হবে। জ্বালানি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের গ্যাস ঘাটতি মেটাতে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। সেজন্য পেট্রোবাংলা ভোলায় আরো পাঁচটি গ্যাস কূপ খনন করতে যাচ্ছে। আর ওসব কূপ খননে মোট ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ওই কূপগুলোর মধ্যে চারটি সংস্কার হবে এবং একটি নতুন কূপ খনন করা হবে। ওসব কূপ খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাপেক্স। চলতি বছরের শুরু থেকে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে। বাপেক্সের নিজস্ব ও সরকারি অর্থায়নে ভোলায় ওসব কূপ খনন করা হবে।

সূত্র জানায়, দেশীয়ভাবে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে ভোলা অঞ্চলে চারটি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ ও একটি নতুন অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে। তার মধ্যে ভোলার শাহবাজপুর-৫, ৭ এবং ভোলা নর্থ-৩, ৪ এ মোট চারটি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন করা হবে। তাছাড়া বাপেক্সের শাহবাজপুর নর্থ ইস্ট-১ এ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন টেস্টিং ও কমপি­কেশনের মাধ্যমে প্রস্তাবিত পাঁচটি কূপসহ মোট ২০টি কূপ খনন পরিকল্পনা রয়েছে। ওই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়ে সরকারি (জিওবি) ঋণ থেকে ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা আসবে আর বাপেক্সের নিজস্ব অর্থায়নে ৩১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপির নিজস্ব অর্থায়ন থেকে প্রায় ৮০ কোটি টাকা দেয়া হবে। প্রকল্প ব্যয়ে দেখানো হয়েছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্যয় হবে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, পাঁচটি কূপ খনন, টেস্টিং ও কমপ্লিকেশন ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা, ড্রিলিং রিগ ও রিগ যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ২৯ কোটি ৩৪ লাখ, ব্যাংক চার্জ ৪৮ কোটি ৪৫ লাখ, কম্পিউটার সফটওয়্যার খরচ ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

সূত্র আরো জানায়, দেশে গ্যাসকূপ খননের পাশাপাশি কূপ খননে বাপেক্স দুই হাজার হর্স পাওয়ার সক্ষমতার রিগ কিনবে। নতুন গ্যাসকূপ খনন, মূল্যায়ন কাম উন্নয়নে বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে ওই রিগগুলো কেনা হবে। রিগ ক্রয়ে খরচ হবে ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। যার মধ্যে ৫২০ কোটি টাকা দেবে সরকার। বাকি ৫৭ কোটি টাকা বাপেক্স নিজস্ব অর্থায়ন করবে।

এ বিষয়ে বাপেক্সের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, ৫২টি কূপ খনন প্রকল্পের অংশ হিসেবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আর কূপ খনন তৎপরতা যাতে না কমে, সেজন্য রিগ ক্রয় করা হচ্ছে। নতুন রিগ ক্রয় করা হলে বাপেক্সের রিগের সংখ্যা ও সক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি কূপ খননে গতিও বাড়বে।


এই বিভাগের আরো খবর