ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ক্যাম্পাসজুড়ে টানানো বিভিন্ন প্যানেলের ব্যানার ও ফেস্টুন সরিয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের গঠিত টাস্কফোর্স ও প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় টিএসসি, চারুকলা, সামাজিক বিজ্ঞান চত্বর, কার্জন হল ও হলপাড়াসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব প্রচারণাসামগ্রী অপসারণ করা হয়।
প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণার অনুমতি দেওয়া হয় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে। এরপরই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’, ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’সহ বেশ কিছু প্যানেলের ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয়। তবে ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রার্থীরা কেবল সাদা-কালো পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ব্যবহার করতে পারবেন; কোনোভাবেই পিভিসি, কাপড় বা অন্য মাধ্যমে ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো যাবে না।
চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। বুধবার ব্যানার সরানোর সময় টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক অধ্যাপক গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, “আচরণবিধিতে ব্যানার-ফেস্টুনের কোনো সুযোগ নেই। অনেক প্রার্থী না জেনে এগুলো টাঙিয়েছিল। আমরা সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছি। ভবিষ্যতে কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, “কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনেকে ফেস্টুন বানিয়েছিলেন। আমরা সবাইকে জানিয়েছিলাম নিজেরা সরাতে। তারা না সরায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।”
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, আগামী সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসুর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার ২৮টি পদে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন সর্বাধিক ৪৫ জন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল সংসদের ১৩টি পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ১০৩৫ জন শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সমান প্রতিযোগিতার সুযোগ নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।