শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ধানমন্ডি ৩২ থেকে রিকশাচালক গ্রেপ্তারকে ঘিরে বিতর্ক, ব্যাখ্যা চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

প্রতিনিধি: / ৪৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকীতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল নিয়ে আসা এক রিকশাচালককে মারধর ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (১৭ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মো. আজিজুর রহমান নামে ওই রিকশাচালককে মামলার কোন ভিত্তিতে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ছাড়া সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অতি দ্রুত দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) আজিজুর রহমানকে জুলাই আন্দোলনের সময় করা এক হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিনের আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তবে পরদিন রোববার দুপুরে শুনানি শেষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল নিয়ে হাজির হন। নিজের রিকশা রাস্তার পাশে রেখে হাতে ফুল নিয়ে ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়ান। ফুলের তোড়ায় লেখা ছিল– “১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস”। সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও ইউটিউবাররা তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে রিকশাচালক বলে পরিচয় দেন। জানান, তিনি ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা, বর্তমানে বাসাবো এলাকায় থাকেন এবং তিন বছর ধরে রিকশা চালাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শাহবাগ থেকে ৪০০ টাকায় ফুল কিনে এনেছেন।

কথোপকথনের একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক তাকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। কেউ কেউ ঠেকানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

ডিএমপি অবশ্য দাবি করেছে, আজিজুর রহমানকে কোনো হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি। রোববার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, তাকে ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক করা হয় এবং পরদিন একটি নিয়মিত মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়। তবে কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক বলে জানায় পুলিশ।

ধানমন্ডি থানার ওসি কাশৈন্যু মারমা জানান, এ ঘটনায় মোট সাতজনকে আটক করা হয়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় পাঁচজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং দুইজনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর