আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন নানা আলোচনা চলছে, তখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ তুলেছেন যে কিছু খুচরা রাজনৈতিক দল ভরাডুবির ভয়ে নির্বাচন চায় না। তাঁর দাবি, এসব দল নির্বাচনে অংশ নিলে টিকতে পারবে না বলেই তারা নানা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে এবং কিছু মন্ত্রণালয় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে সেটিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জনতার অধিকার পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, দেশে এখন একটি জবাবদিহিমূলক সরকারের প্রয়োজন। সেই সরকার গঠনের একমাত্র পথ হলো একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তিনি অভিযোগ করেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ছয় বছর কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থাতেও তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। অথচ তিনি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্ত হলেও স্থায়ী ভিত্তি গড়তে হলে অবাধ নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি সরকার ঘোষিত ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তবে তাঁর মতে, কিছু খুচরা দল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, কারণ তারা জানে মাঠে নামলে তাদের ভরাডুবি অনিবার্য।
সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, রাজনৈতিক সহাবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে হলে সব দলকেই আগে নিজেদের সংশোধন করতে হবে। শুধু অন্যদের সমালোচনা করে লাভ নেই। তিনি আরও আহ্বান জানান, দেশে যেন ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে সে জন্য সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
দুদু তাঁর বক্তব্যে আগস্ট মাসকে আন্দোলনের প্রতিজ্ঞার মাস হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। কারণ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকারই কেবল মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারে।