আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ‘না ভোট’ প্রবর্তনের বিষয়টি বিএনপির কোনো দাবি ছিল না। বরং এটি কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির সুপারিশের ভিত্তিতে এসেছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে থাকা এ দলে ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৈঠকে সিইসির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন একজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি ‘না ভোট’-এর কোনো প্রস্তাব দেয়নি। তার ভাষায়, “এটি আমাদের দাবির ভিত্তিতে হয়নি। কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির সুপারিশের প্রেক্ষিতে এসেছে। এখন যা করা হচ্ছে, তাতে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।”
তিনি জানান, মূলত নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতেই তারা বৈঠকে গিয়েছিলেন। বিশেষ করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কীভাবে হচ্ছে, সেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার চেষ্টা করেছে বিএনপি। এছাড়া নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনায় আসে। নজরুলের মতে, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।
প্রবাসী ভোটারদের প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। সিইসি প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। তবে বিএনপি প্রস্তাব করেছে, শুধু এনআইডি ও ই-পাসপোর্টধারী নয়, বরং সাধারণ পাসপোর্টধারী প্রবাসীদেরও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা উচিত।
আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এ বিষয়ে এখনো দলের ভেতরে কোনো আলোচনা হয়নি। তফসিল ঘোষণার পরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।