 
						ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী সপ্তাহে নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রোডম্যাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সীমানা পুনঃনির্ধারণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, সরঞ্জাম কেনাকাটা, অংশীজন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি– সব ধরনের সময়ভিত্তিক কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সংলাপ ও আইনবিধি সংস্কার নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা যুক্ত করা হবে।
আখতার আহমেদ জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তার আগে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন। তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহেই নির্বাচনী রোডম্যাপ দিতে পারবো। এতে আমাদের প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে।”
প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়ে সচিব বলেন, “আউট অব কান্ট্রি ভোটিং নিয়ে আলোচনা চলছে। কীভাবে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা যায়, কোথায় কতদিনের মধ্যে করা সম্ভব— এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা চলছে।” তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে আলোচনার পর নিয়মিত ব্রিফিং দেওয়া হবে।
ইসি সচিব জানান, পর্যবেক্ষক নিয়োগের জন্য এখন পর্যন্ত ৩১৮টি আবেদন কমিশনে এসেছে, যা পর্যালোচনা চলছে। পাশাপাশি নিবন্ধিত ২২টি রাজনৈতিক দলের জন্য মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজও শুরু করা হবে।
২০০৭-০৮ সালের নির্বাচন থেকে রোডম্যাপ প্রকাশের প্রথা চালু হয়। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছিল তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। এবারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে বর্তমান কমিশন। এ বিষয়ে ১৮ আগস্ট বৈঠকে চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা অনুমোদনের পর পুস্তিকা আকারে রোডম্যাপ প্রকাশ করা হতে পারে।
নির্বাচনী রোডম্যাপের মাধ্যমে ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলো শুধু প্রস্তুতির অগ্রগতি নয়, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনে কমিশনের প্রতিশ্রুতিও প্রত্যক্ষ করতে পারবে।