শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

সচিবালয়ে প্রতিনিধি দল, প্রেস ক্লাবে অপেক্ষমাণ হাজারো শিক্ষক

প্রতিনিধি: / ৪৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

সারা দেশ থেকে আসা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। যদিও তারা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেননি, পুলিশের সহায়তায় ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে গিয়েছে। বাকি শিক্ষকরা প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তায় অপেক্ষা করছেন, দাবির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা এলাকা ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার পর প্রতিনিধি দলটি সচিবালয়ে পৌঁছায়। যাওয়ার আগে আন্দোলনকারীদের প্রেস ক্লাবের সামনে সড়কে অপেক্ষা করতে বলা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে শিক্ষকদের পদযাত্রা ঠেকানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়। কুমিল্লা থেকে আসা শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, “শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায়ের জন্য আমাদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সচিবালয়ে গেছেন। আমরা তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। নিশ্চিতভাবেই তারা শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে আমাদের জন্য সুবার্তা নিয়ে আসবেন।”

‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে দীর্ঘ আন্দোলনের পর তৎকালীন সরকার বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছিল। তখন পরবর্তী মেয়াদে জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে আগের সরকার তা বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষা উপদেষ্টা বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২২তম দিনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং বাজেটে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও প্রজ্ঞাপন এখনও জারি হয়নি। এজন্য জোট ১০ আগস্টের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছিল, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। ২০১৮ সালের প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই। শিক্ষকেরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। আমরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আমরা একযোগে দাবি তুলে ধরব এবং প্রয়োজনে সচিবালয় পর্যন্ত পদযাত্রা করব। এটা শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। আমরা চাই সরকার অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিক। যদি এবারও দাবি পূরণ না হয়, তবে আরও বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।”


এই বিভাগের আরো খবর