সর্বশেষ :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

কঙ্গোতে সেনাবাহিনী ও এম২৩ সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সহিংস লড়াই শুরু

প্রতিনিধি: / ১৩৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শান্তি চুক্তি সত্ত্বেও পূর্ব গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং এম২৩ সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সহিংস লড়াই শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও স্থানীয় সূত্র এ খবর জানিয়েছে। এই ঘটনায় ওই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গত জুন মাসের শেষের দিকে ডিআরসি ও রুয়ান্ডার মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর, কিনশাসা ও এম২৩ গত ১৯ জুলাই নীতিগত ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে, যেখানে তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। তবে, এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিগুলো সহিংসতা বন্ধ করেনি এবং দক্ষিণ কিভু প্রদেশের মুলাম্বা শহরে শুক্রবার থেকে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ এবং কিনশাসার সাথে যুক্ত স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াই তীব্রতর হয়েছে। স্থানীয় ও নিরাপত্তা সূত্রের মতে, ভারী ও হালকা অস্ত্রের সংঘর্ষের পর এম২৩ এলাকায় উপস্থিত মিলিশিয়া এবং কঙ্গোলিজ সশস্ত্র বাহিনী (এফএআরডিসি) সৈন্যদের পিছনে ঠেলে দেয়। সূত্র জানিয়েছে, রোববার উভয় পক্ষই শক্তিবৃদ্ধি করেছে। প্রাদেশিক রাজধানী বুকাভু থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মুলাম্বা শহরের আশেপাশে গত সোমবারও লড়াই চলছে। স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, ‘উভয় বাহিনীই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে’ এবং ‘মুলাম্বার সকল দিকে বোমা ছোড়া হচ্ছে’। কোনও পক্ষই হতাহতের কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। গত সোমবার এক বিবৃতিতে, এম২৩ মুখপাত্র লরেন্স কানিউকা কিনশাসাকে ‘বড় আকারের সংঘাতের লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক সামরিক কৌশল’ পরিচালনা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। ২০২১ সালে পুনরুত্থানের পর থেকে, এম২৩ সম্পদ সমৃদ্ধ পূর্ব ডিআরসিতে বিশাল অঞ্চল দখল করেছে, যার মধ্যে জানুয়ারিতে গোমা এবং ফেব্রুয়ারিতে বুকাভুর প্রধান শহরগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জুলাইয়ের শেষের দিকে প্রকাশিত জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে পূর্বাঞ্চলের সহিংসতার কারণে বিশ লাখের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে।


এই বিভাগের আরো খবর