বিদেশ : ফ্রান্সে প্রায় ছয় মাস ধরে নির্বিচারে আটক থাকা ইরানি নাগরিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মাহদিহ এসফান্দিয়ারিকে নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বোন জাহরা এসফান্দিয়ার। গত বুধবার প্রেস টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ফরাসি পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে আটক রাখার প্রথম দিন থেকেই জোর করে হিজাব খুলে ফেলেছেন। ইরানি প্রভাষকের বোন আরও বলেছেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ফরাসি শহর লিওঁতে তার বোনের বাড়িতে ঢুকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বোনের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল ছিল, সেখানে তিনি সামপ্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে আপডেট শেয়ার করতেন। বিশেষ করে গাজা উপত্যকার তথ্যগুলো, যেখানে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। জাহরা বলেন, মাহদিহকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আদালতে এখনো কোনো শুনানি হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, ‘সে মানসিক চাপের মধ্যে আছে। প্রথম দিন থেকেই তার হিজাব খুলে ফেলা হয়েছে।’ জাহরা বলেন, ফরাসি কর্তৃপক্ষ মাহদিহকে তার পছন্দের খাবারও খেতে না। ৩৯ বছর বয়সী ইরানি ভাষাবিদ এবং ফরাসি ভাষায় স্নাতক মাহদিহ এসফান্দিয়ারি গত ৮ বছর ধরে ফ্রান্সে বসবাস করছেন। তিনি লিওঁর লুমিয়ের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি একজন প্রভাষক, অনুবাদক এবং দোভাষী হিসেবে কাজ করেন। গ্রেপ্তারের পর ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়কে। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ইরানি কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করে। ঘটনা জানাজানি হলে ফরাসি বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ অবশেষে এপ্রিলের প্রথম দিকে নিশ্চিত করে, তাকে আটক করা হয়েছে এবং প্যারিসের শহরতলিতে অবস্থিত ফ্রেশনেস কারাগারে রাখা হচ্ছে।