মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৬ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মির্জাগঞ্জে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার  বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ঘুষের প্রস্তাবের অভিযোগ

প্রতিনিধি: / ১৩০ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

মাসুম বিল্লাহ, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:  মির্জাগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এর বিরুদ্ধে তথ্য প্রদান না করে টালবাহানা করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, সরকারি প্রকল্প এসএসসিপি এর আওতায় ১০টি ঘর নির্মাণের অর্থ নয় ছয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিম্নমানের ও মরা গাছের চারা বিতরণ, কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ২৫০ জন কৃষকের প্রদর্শণীর তথ্যসমূহ সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হলেও তিনি তা না দিয়ে নানা অজুহাতে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিক গণমাধ্যমকর্মী উপজেলার কৃষি অফিসে গিয়ে মৌখিকভাবে বিভিন্ন তথ্য চাইলে কর্মকর্তা সময়ের অজুহাত দেন এবং এছাড়াও তিনি তথ্য দিতে ইউএনও মহোদয়ের অনুমতি নিতে হবে বলে জানান। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে তাদের বিকাশ নাম্বার চান এবং তথ্যের জন্য অফিসে গেলে তিনি সাংবাদিকদের খাম দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক স্থানীয় সাংবাদিক বলেন, “সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের করের টাকায় বেতন পান। তথ্য গোপন করার অধিকার তাদের নেই। সাংবাদিকরা যখন তথ্য চায়, তখন তাদের সহযোগিতা করার কথা। কিন্তু এখানে ঘটছে উল্টো চিত্র।”
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিম্নমানের ও মরা গাছের চারা বিতরণের অভিযোগ রয়েছে এবং গাছের চারা নিতে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগন গাছের চারা না নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলে তিনি বিতরণ কাযক্রম বন্ধ রাখতে বলেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, সরকারি বিভিন্ন কৃষি সহায়তা প্রকল্প সম্পর্কে না জানার কারণে তারা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। ফলে উপজেলার কৃষি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী যে কেউ চাইলেই নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় তথ্য পাওয়ার অধিকার রাখে। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপন করে, তাহলে তা আইন লঙ্ঘনের শামিল।


এই বিভাগের আরো খবর