বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “চুক্তি স্বাক্ষরের পর তথ্য অধিকারের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতির ভিত্তিতে গোপনীয়তা চুক্তি প্রকাশ করবো। আমার ধারণা, একটি যৌথ বিবৃতি শিগগিরই আসবে।’
সাক্ষাৎকারটি গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে গোলাম মোর্তোজা তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে শেয়ার দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “শুল্ক আলোচনার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষা করা একটি স্বাভাবিক বিষয়। তিনি বলেন, ‘যখন দুই পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কোনো চুক্তি হয়, তখন এনডিএ (নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট) স্বাভাবিকভাবেই আসে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং প্রয়োগযোগ্য। যতক্ষণ চূড়ান্ত চুক্তি না হয়, ততক্ষণ গোপনীয়তা রক্ষা জরুরি। প্রতিবেশী রাষ্ট্র বা তৃতীয় পক্ষ যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সে জন্যই এমন সতর্কতা।”
বিনিময়মূলক এই শুল্ক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা তাদের নিরাপত্তাকে মূল নিয়ামক হিসেবে বেছে নিয়েছে। সেই জায়গা থেকে আলোচনার গোপনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গোপনীয়তার আড়ালে যদি দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু থাকত, তবে আমরা কখনোই এই চুক্তিতে যেতাম না। আমরা দেশের স্বার্থের বাইরে কিছু করবো না। কারণ নিজস্ব স্বার্থ বিসর্জন দিলে আমাদের সামর্থ্য হ্রাস পাবে এবং সেই বাণিজ্য চুক্তির আর কোনো লাভ থাকবে না।”
চুক্তির কিছু তথ্য আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে যেগুলো প্রকাশ হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই। আর যেসব বিষয়ে দ্বিমত ছিল, সেগুলো আলোচনা করেই সমাধান করা হয়েছে।’