বিদেশ : কানাডার যেসব পণ্য বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তির আওতায় পড়ে না, সেগুলোর ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্তে কানাডার সরকার ‘হতাশ’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। খবর সিএনএনের। স্থানীয় সময় শুক্রবার মার্ক কার্নি বলেন, এই শুল্কের কারণে সামগ্রিকভাবে কানাডার বাণিজ্যে খুব বেশি ক্ষতি হবে না। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ) এখনও কার্যকর রয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, কানাডার পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের গড় শুল্ক হার এখনও অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় কম। কার্নি জানান, ইউএসএমসিএ চুক্তির কারণে উত্তর আমেরিকায় তৈরি বেশিরভাগ পণ্য বিনা শুল্কে কেনা-বেচা হয়। কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, কানাডার জ্বালানি পণ্যের ১০০ শতাংশ এবং অন্যান্য পণ্যের ৯৫ শতাংশ এই চুক্তির আওতায় পড়ে। তবে কার্নি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, আমাদের অর্থনীতির কিছু খাত, যেমন কাঠ, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ি ু এই নতুন শুল্কের কারণে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এইসব খাতের পণ্য রপ্তানির জন্য কানাডার সরকার নতুন বাজার খুঁজতে কাজ করবে। শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে ট্রাম্পের দেওয়া যুক্তিরও সমালোচনা করেছেন কার্নি। ট্রাম্প এর আগে মাদক আমদানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এর জবাবে কার্নি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ ফেন্টানিল ঢোকে, তার মাত্র ১ শতাংশ কানাডা থেকে যায়। আমরা এই পরিমাণ আরও কমানোর জন্য কঠোর চেষ্টা করছি। কার্নি দৃড়তার সঙ্গে বলেন, কানাডা আমাদের নিজেদেরই সবচেয়ে ভালো ক্রেতা হবে। অন্য কোনো দেশ যা কেড়ে নিতে পারে, তার চেয়ে আমরা নিজেদেরকে বেশি দিতে পারি, যদি আমরা কানাডার শ্রমিকদের দিয়ে আমাদের দেশ গড়ি এবং কানাডার সম্পদ ব্যবহার করি।