শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

কপিলমুনির হাউলীর একটি রাস্তা বলে দিচ্ছে এলাকার মানুষ কতটা অবহেলিত

প্রতিনিধি: / ৩৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫

শেখ আব্দুল গফুর,কপিলমুনি (খুলনা) অফিসঃ  কপিলমুনির হাউলীর একটি রাস্তার কারনে চারটি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে
গেছে। উত্তর পাইকগাছার চিংড়ি মাছ,সাদা মাছ ও কাঁকড়া উৎপাদনের অন্যতম জোন
কপিলমুনির ্য়ঁড়ঃ;হাউলী-প্রতাপকাঠি বিসি মোড় টু তালতলা রোড্য়ঁড়ঃ; দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ বেহাল
দশায় পড়ে রয়েছে। রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইটের
সোলিংয়ের রাস্তাটির কোথাও কোথাও ইটের অস্তিত্ব না থাকায় চলাচলে ভোগান্তি চরমে
উঠেছে।এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তাটি মূলত উৎপাদিত মৎস্য ও পোনা আনা- নেওয়া সহ
প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও মৎস্য চাষ সংশ্লিষ্টরাই যাতায়ত করেন। এছাড়া পার্শ^বর্তী
ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ও শরাফপুর ইউনিয়নের অসংখ্য লোকজন এই রাস্তা দিয়ে
কপিলমুনিতে আসা যাওয়া করলেও সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। তারা এখন কাশিমনগরের মধ্য দিয়ে
প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে কপিলমুনিতে আসতে হচ্ছে। রাস্তাটিতে জরুরী মৎস্য
ও মৎস্য পোনা সরবরাহে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। শুকনা মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে কিছুটা
চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে চলাচল প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়। তাই মৎস্য চাষী ও মৎস্য
সংশ্লিষ্টরা মাছের পোনা ও উৎপাদিত মাছ সময়মত আনা নেওয়া করতে পারেনা। দ্রুত পোনা আনা
নেওয়া করতে না পারায় স্পর্শকাতর চিংড়ি পোনা অনেক সময় দুর্বল হয়ে যায়। ফলে চিংড়ি চাষে
এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া উৎপাদিত চিংড়ি সহ বিভিন্ন সাদা মাছের বাজার
সময়মত ধরতে না পারায় মৎস্য চাষীদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে
বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকায় যাতায়াতে একেবারে অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত
সেখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। মৎস্য চাষী মুজিবর রহমান জানান, রাস্তাটি সংস্কার হলে মৎস্য
চাষীরা ব্যাপক উপকৃত হবেন। চিংড়ি চাষী হাজী হান্নান সরদার জানান, চিংড়ি ও সাদা মাছ
চাষে সমৃদ্ধ উত্তর পাইকগাছার এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলটির
হাউলী,খলশেখালি,বকুলতলা,আমড়তলা,গোয়ালবাতান,চিনেমুলা,শ্রীফলতলা,খড়িয়াবুনে,একাতড়,ব
াহনহাড়িয়া ও হিজলতলার দুর্গম বিলে যাতায়াতের একমাত্র এই রাস্তাটি সংস্কার হলে মৎস্য চাষ
সমৃদ্ধ হবে আর বৃদ্ধি পাবে মাছের উৎপাদন। ভ্যান চালক সোহরাব আলী বলেন,রাস্তাটিতে ভ্যান
চালাতে পারিনা তবে হলে আমাদের আয় অনেক বেড়ে যাবে। আর স্থানীয়রা ক্ষোভের সাথে
জানিয়েছেন, আজ অবধি কোন জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন্#৩৯;র উপজেলা
কর্মকর্তাদের চরম অবহেলার কারণে রাস্তাটির এমন দশা হয়েছে। এর আগে একাধিকবার বিভিন্ন
পত্র পত্রিকায় স্থানীয় এমপিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাস্তাটির সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও
কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই রাস্তাটি আশু সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।


এই বিভাগের আরো খবর