স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বললেন, “গোপালগঞ্জে গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না। যারা অন্যায় করেছে তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মিথ্যা বলে গণতন্ত্র হয় না, সত্যি কথা বলতে হবে। কেউ অন্যায় করলে গ্রেপ্তার হবে, কিন্তু যারা নির্দোষ তাদের যেন হয়রানি না হয়। গোপালগঞ্জে শিশু গ্রেপ্তারের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আমি একটা কথা বলেছি, কোনো অবস্থায় যেন দুষ্কৃতিকারী ছাড়া না পায় আর যে অপরাধ করেনি তাকে যেন গ্রেপ্তার না করা হয়। আমি অনেক টেলিভিশনে দেখলাম গোপালগঞ্জে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে এসেছে। কারফিউ তো এই কারণে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৪৪ ধারাও আস্তে আস্তে উঠিয়ে নেওয়া হবে।”

এক প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “গোপালগঞ্জে ঘটনা যে ঘটেছে সেটি তো আমি অস্বীকার করছি না। এটাতো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে তো অনেক কিছু অনেক সময়…আগে যখন আমরাও (রাজনীতি) করেছি, তখন ইউনিভার্সিটিতে তো কত ধরনের ঘটনা হয়েছে। ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কেনা সেটি হচ্ছে আমাদের কথা, আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কেনা।”

‘আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে আমরা শুনলাম তারা কীভাবে কাজ করছেন, আগে কী পরিস্থিতি ছিল, এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে। তারা ফিডব্যাক দিয়েছেন, তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তারা বললেন যে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি হয়নি সেটি আপনারা বলতে পারবেন’-উল্লেখ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের হরতাল নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্য সময়ের তুলনায় এবারের হরতালগুলোতে নাশকতার মাত্রা অনেকটাই কম। আমরা সহনশীলতা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমরা চাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বজায় থাকুক। সবাই মত প্রকাশ করবেন, তবে যেন কেউ অশালীন ভাষা বা আক্রমণাত্মক আচরণ না করেন।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবে না, এমন কথা ঠিক নয়। আমাদের হাতে এখনো সময় আছে। প্রস্তুতি চলছে, প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’