শেখ আব্দুল গফুর,কপিলমুনি (খুলনা) অফিস:বর্ষা মৌসুমের শুরুতে নিম্নচাপে কপিলমুনি এলাকায় নদ-নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধিসহ কয়েক দিনের টানা ভারী ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শত শত চিংড়ি ঘের, পুকুর, জলাশয়ের মাছ ও চিংড়ি ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল। অনেক এলাকার কাঁচা
বাড়ি-ঘর ধ্বসে পড়েছে। সব মিলিয়ে গত ২৫ দিনের টানা বৃষ্টিতে কপিলমুনি, লতা ও
হরিঢালীতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক সহ স্বল্প ও নিম্ন
আয়ের মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানের চিংড়ি ঘের মালিক ও কৃষকরা জানান, নিম্নচাপের
কারণে দীর্ঘ দিনের বৃষ্টিপাতে মিষ্টি পানির পুকুর, জলাশয়, হাজার-হাজার বিঘার লবণ পানির
চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। কপোতাক্ষ নদীতে নাব্যতা
হ্রাসের দরুণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কোথায়ও কোথায়ও জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। প্রায়
গ্রামে কাচা ঘর বাড়ি ধ্বসে পড়েছে, তবে হতাহতের তেমন কোন খবর পাওয়া যায় নি। অনেকের
বাড়ি-ঘরের মধ্যে পানি উঠে গেছে, উঠানে হাঁটু পানি ফলে পানি মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে
বসবাস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।কপিলমুনির মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী এম হোসেন আলী বলেন,
‘গোয়াল বাথানে আমার একটি ১৮ বিঘা মৎস্য ঘের রয়েছে। গত কয়েকদিন এতো পরিমান
বৃষ্টি হয়েছে যে, ঘেরটি তলিয়ে যায়। এতে আমার রুই, মৃগি, ভেটকি, মনোসেক্ধসঢ়;্র মাছ
বেরিয়ে গেছে। কাজিমূছা গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার এলিবেন ও
উনপঞ্চাশ ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কৃষি ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিয়ে ধান চাষ করেছিলাম,
সর্বশেষ কতটুকু ফসল ঘরে তুলতে পারবো তা ভেবে পারছি না।