• বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৬:০৮
সর্বশেষ :
পাইকগাছায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও গাছের চারা রোপণ পাইকগাছার দেলুটির বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ  পাইকগাছা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কপিলমুনিতে দোকান ঘরের একটি অংশ জোর করে দখল করে রাস্তা করার অভিযোগ সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫ উদযাপিত মোরেলগঞ্জে অবহিতকরণ  সভা অনুষ্ঠিত এবার দিনের বেলা ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৭ ইউরোপে ইভির বিক্রি বাড়লেও মে মাসে টেসলার বিক্রি কমেছে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করতে পারে ইউরোপ

জলবায়ু মোকাবিলায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রতিনিধি: / ৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও জাতীয় বৃক্ষরোপন অভিযান- ২০২৫ এবং পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বললেন, “প্লাস্টিক এমন জিনিস হয়ে গেছে যা হুংকার দিচ্ছে হয় আমরা থাকবো, না হয় তোমরা থাকবে। দুটো একসাথে থাকা যাবে না। প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিক না থাকায় জীববৈচিত্র ধ্বংসের মুখে পড়েছে। প্লাস্টিক এমন জিনিস হয়ে গেছে যা হুংকার দিচ্ছে হয় আমরা থাকবো, না হয় তোমরা থাকবে। দুটো একসাথে থাকা যাবে না।”

নতুন প্রজন্ম দূষণমুক্ত শহর দেখতে পারবে। তরুণ প্রজন্মের অসীম শক্তি জুলাইয়ে দেখেছে। তরুণরাই আমাদের নতুন বাংলাদেশ দেখার স্বপ্ন গড়ে তুলেছে। তরুণ প্রজন্ম ইতিহাসের সবচেয়ে সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম। তাই তাদের জলবায়ু মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমাদের পুরোনো কবিরা বলে গেছেন, সাগরের সব পানি যদি কালি হত, বনের সব গাছ যদি কলম হতো, তাহলে এই অপরাধের বর্ণনা শেষ করা যেত না। একই অপরাধ আমরা করে যাচ্ছি প্রতিদিন।”

তিনি আরও যোগ করে বলেন, আজকের পৃথিবী বিভিন্ন ধরনের সংকটে জড়িত। যুদ্ধবিগ্রহ, প্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের সামনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যে চ্যালেঞ্জটা আমরা এখনো অনেকে উপলব্ধি করতে পারছি না, সেটা হলো প্রকৃতির বিধ্বংসী-রূপ। এটা প্রকৃতির দোষ না, আমাদের দোষ। আমরা মানুষ যারা এখানে বসবাস করি, প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার কথা। কিন্তু তাল মিলিয়ে না চলে উল্টো পথে চলি। দোষটা প্রকৃতির না, দোষটা হলো প্রকৃতি-বিধ্বংসী এক জীব, যার নাম মানুষ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্লাস্টিকের ব্যবহার পৃথিবীতে তিন ধরনের সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে। জলবায়ুগত সংকট, প্রকৃতিগত সংকট, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি। এটা শুধু প্লাস্টিকের জন্য। আরো বহু জিনিস আছে। প্লাস্টিক ক্রমাগত হুঙ্কার দিচ্ছে, হয় আমরা থাকবো, না হয় তোমরা থাকবে। দুইজন একসঙ্গে থাকতে পারবে না। তাদের জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে আর আমাদের অসহায়ত্ব দেখছে। আমাদের উদ্যোগের অভাব দেখছে। আমরা সব জয় করে নিলাম তোমরা কিছুই করতে পারলে না। এই অসহায়ত্বের মধ্যে আমরা ২০২৫ সালে এই দিবস পালন করছি।”

‘প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক না থাকায়, পৃথিবীর জলাশয়গুলো পলিথিন ও প্লাস্টিকে ছেয়ে গেছে। জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়ছে। প্লাস্টিক এমন এক জিনিস, যার জন্ম আছে মৃত্যু নেই। পৃথিবীর সব কিছুর মৃত্যু আছে, তার মৃত্যু নেই। এসব ক্রমাগত বাড়ে, ফলে তা সবকিছু জয় করে ফেলে। আমরা দিবস উদযাপন করে ঘরে ফিরে যাব, যথারীতি প্লাস্টিক ব্যবহার করব’-যোগ করেন এ নোবেল বিজয়ী।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com