• সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৮:০০

প্রধান উপদেষ্টা রাতে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন

প্রতিনিধি: / ১১ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করতে চার দিনের সরকারি সফরে জাপান যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাতে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে আলোচনা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোমবার (২৬ মে) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী জানান, সফরের অংশ হিসেবে জাপানের কাছ থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ সহজ শর্ত ও স্বল্প সুদে এই অর্থ সহায়তা চায়।

প্রধান উপদেষ্টা টোকিওতে ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য নিক্কেই ফোরামে অংশ নেবেন। এছাড়া ৩০ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সফরকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে জাপানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার শীর্ষস্থানীয়দের সাক্ষাৎ হবে। এর মধ্যে রয়েছে জাইকার প্রেসিডেন্ট তানাকা আকিহিকো, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো)-এর প্রেসিডেন্ট, এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের প্রেসিডেন্ট তারো আসো।

সফরে সাতটি সমঝোতা স্মারক ও দুটি এক্সচেঞ্জ অব নোটস স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১। প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপনে জাপানের জেবিআইসি ঋণচুক্তি।

২। বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) ভূমি বরাদ্দ সংক্রান্ত দুইটি চুক্তি, যার একটির সঙ্গে ওনডা এবং অপরটির সঙ্গে নাকসিস।

৩। ব্যাটারি ও সাইকেল কারখানা স্থাপন নিয়ে বিডার সঙ্গে চুক্তি।

৪। বিডাতে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) প্রযুক্তি স্থাপন সংক্রান্ত জাইকার সঙ্গে সমঝোতা।

৫। বিএমইটির সঙ্গে দক্ষতা ও ভাষা উন্নয়ন বিষয়ক দুটি আলাদা সমঝোতা।

এছাড়া বাজেট সহায়তা এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথকে ডুয়েলগেজ ডবল লাইনে উন্নীতকরণে এক্সচেঞ্জ অব নোটস স্বাক্ষরের বিষয়েও আলোচনা হবে।

ড. ইউনূস তাঁর সফরে একটি বিজনেস সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন, যেখানে জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের শিল্প, অবকাঠামো ও মানবসম্পদ খাতে আরও বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানাবেন।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফর কেবল একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা বাংলাদেশ-জাপান কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও মজবুত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শ্রমশক্তি রপ্তানি, অবকাঠামো উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যৌথ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে এই সফর।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com