• রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৩:০১

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন

প্রতিনিধি: / ২২ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

বিদেশ : পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতায় দৃঢ় সমর্থন দেওয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে। বেইজিংয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইসহাক দার। বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন তিনি। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সামপ্রতিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে সেখানে আলোচনা করছেন দার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় নেতা পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। লিউ জোর দিয়ে বলেন, ‘অল-ওয়েদার স্ট্র্যাটেজিক কো-অপারেটিভ পার্টনার’ এবং ‘আয়রন-ক্ল্যাড বন্ধু’ হিসেবে চীন সবসময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেবে। রাষ্ট্রায়ত্ত রেডিও পাকিস্তান জানায়, দার সোমবার তিনদিনের সরকারি সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান। এই সফরটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পেহেলগাম হামলার পর সামরিক উত্তেজনা চরমে ওঠে এবং পরে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ৬ ও ৭ মে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাঞ্জাব ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বোমাবর্ষণ করে, যাতে বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। এর জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। ড্রোন প্রতিহত ও বিমানঘাঁটিতে হামলার পর ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়। ভারত আগ্রাসী অবস্থান বজায় রাখলেও পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে এবং সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে। সফরে দার চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। দুই দেশই পাকিস্তান-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ পরিসর নিয়ে পর্যালোচনা করবে এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়াবলিতে মতবিনিময় করবে। আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও বেইজিংয়ে অবস্থান করবেন এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চীন সফরের আগে সংবাদমাধ্যমকে দার বলেন, চীন পাকিস্তানের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার এবং উভয় দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি আরও বলেন, চীনা নেতৃত্বের সঙ্গে তার বৈঠকে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক ইস্যুগুলোর পাশাপাশি পাকিস্তান-ভারত সামপ্রতিক উত্তেজনা নিয়েও আলোচনা হবে।

ছবি : ০৮
হার্ভার্ডের আরও ৬০ মিলিয়ন ডলার অনুদান বাতিল করলো ট্রাম্প প্রশাসন
এফএনএস বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ (এইচএইচএস) হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত ৬০ মিলিয়ন (৬ কোটি) ডলারের ফেডারেল অনুদান বাতিল করেছে। হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতিগত বৈষম্য ও ইহুদি বিদ্বেষ দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হলো এই সিদ্ধান্তে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। গত সোমবার এঙ্-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে এইচএইচএস জানায়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহুদি বিরোধী হয়রানি এবং বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে বহুবছরের বেশ কয়েকটি অনুদান বাতিল করা হচ্ছে, যার মোট পরিমাণ আনুমানিক ৬০ মিলিয়ন ডলার। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্যাম্পাসে বৈষম্য সহ্য করা হবে না। ফেডারেল তহবিল এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই সমর্থন দেবে, যারা সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের জন্য নির্ধারিত ২২০ কোটি ডলারের বেশি অনুদান স্থগিত করে। চলতি মাসের শুরুতে শিক্ষা বিভাগের সচিব লিন্ডা ম্যাকমাহন এক চিঠিতে জানান, হার্ভার্ড গবেষণার জন্য আর সরকারি অর্থ পাবে না। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষাকে উপহাসে পরিণত করেছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি অভিযোগ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী এবং ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছে। এই আইনে প্রেসিডেন্টকে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংস্থার (আইআরএস) তদন্ত শুরু বা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার গত সপ্তাহে জানান, গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজস্ব তহবিল থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। দ্বন্দ্বের সূত্রপাত মার্চে, যখন ট্রাম্প দেশজুড়ে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন নিয়ম চাপিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। বিশেষত, এসব ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট তাদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ কর্মকাণ্ড ও ইহুদি বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন। প্রতিবাদী ছাত্রনেতারা বলেন, তাদের কর্মসূচি গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে গণহত্যার অভিযোগও রয়েছে। এপ্রিলেই প্রশাসন হার্ভার্ডের প্রথম অনুদান স্থগিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবিলায় প্রশাসনের চাপানো শর্ত প্রত্যাখ্যান করে জানায়, এতে তাদের স্বায়ত্তশাসন হুমকির মুখে পড়বে। এসব শর্তের মধ্যে ছিল— শৃঙ্খলাবিধি সংস্কার, বৈচিত্র্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাতিল এবং প্রশাসনের মতে ‘ইহুদি বিরোধী’ কর্মসূচির বহিরাগত নিরীক্ষা। ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থি রাজনীতিকেরা দীর্ঘদিন ধরেই হার্ভার্ডসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে চরম বামপন্থা প্রচারের অভিযোগ করে আসছেন। তাদের দাবি, এসব প্রতিষ্ঠান ডানপন্থি মতামত দমনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com