আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর পুনরায় চালু করা হয়েছে। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারতের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ৭ মে পাকিস্তানে ভারতীয় বাহিনীর ঝটিকা আক্রমণের পর ১৫ মে পর্যন্ত এসব স্থানে সব ধরনের বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থগিত রাখা হয়। তবে ১১ মে রাতে নতুন করে কোনো হামলার খবর না থাকায় ১২ মে সকাল থেকে বিমানবন্দরগুলো আবারও উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
চালু হওয়া বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে রয়েছে কাশ্মীরের শ্রীনগর, জম্মু ও অবন্তিপুর; পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়, অমৃতসর, আধমপুর, আম্বালা, লুধিয়ানা, পাঠানকোট, হালওয়ারা, ভাটিন্ডা ও পাটিয়ালা; হিমাচল প্রদেশের শিমলা, কুলু মানালি, কাংড়া; রাজস্থানের জয়সলমির, যোধপুর, বিকানির, কিষেনগড় ও উত্তরলাই; লাদাখের লেহ, থোইসে; গুজরাটের ভূজ, কান্ডলা, মুন্দ্রা, রাজকোট, পোরবন্দর, নালিয়া, কেশড এবং উত্তর প্রদেশের হিন্দন ও সারসোয়া।
এই বিমানবন্দরগুলোর পুনরায় চালু হওয়ায় রাজধানী দিল্লির বিমানবন্দরের ওপর চাপ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের ফ্লাইটের সর্বশেষ তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট ও অফিস থেকে নিয়মিত আপডেট নিতে পরামর্শ দিয়েছে। বড় কয়েকটি বিমান সংস্থা যেমন ইন্ডিগো ও স্পাইসজেট ইতোমধ্যে তাদের বন্ধ রুটগুলোতে পুনরায় ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত তার আকাশসীমা পাকিস্তানি বিমানগুলোর জন্য বন্ধ করে দেয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও একই ব্যবস্থা নেয়। এরপর ৭ মে পাকিস্তানে ভারতের অপারেশন সিঁদুর পরিচালিত হয়, যার ফলশ্রুতিতে সাময়িকভাবে বিমানবন্দরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যদিও যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, তবুও সীমান্ত অঞ্চলে মাঝেমধ্যে গুলিবিনিময়ের খবর পাওয়া গেছে। তবে গতকাল সোমবার সীমান্তে পরিস্থিতি ছিল শান্ত, যা বিমান চলাচল আবারও স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।