এস এম রাজ,বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে আওয়ামীলীগ নেতার নামের সাথে মিল থাকায় কালাম খাঁ নামে এক
কৃষককে আটকের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে কালাম খাঁ স্ত্রী খোদেজা বেগম।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মলনে লিখিত অভিযোগে
বলেন, গত ৯ তারিখ শুক্রনবার রাত আড়াইটার দিকে আমরা পরিবারসহ ঘুমন্ত থাকা
অবস্থায় কচুয়া থানা থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাদের বসত বাড়িতে প্রবেশ
করে। তারা আমার স্মামীকে ঘুম থেকে ডেকে উঠায় ও আমার স্মামীকে জানায় আপনি
বাধাল ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি মোঃ কালাম খাঁ আপনার
নামে মামলা আছে থানায় যেতে হবে। একথা শুনে আমার স্মামী পুলিশ সদস্যদের
জানায় সে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। আমার স্মামী পুলিশদের কাছে অভিযুক্তর
পিতার নাম জানতে চাইলেও তারা কোন কর্নপাত করেনি। মূলত বাধাল ইউনিয়ন ৮ নং
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর যিনি সহ-সভাপতি তার নাম মোঃ কালাম খাঁ পিতার নাম
আয়ুর আলী। আমার স্মামীর নাম কালাম খা, নামে মিল থাকলেও শ্বশুরের নাম বারেক
খা। কোন প্রকার যাঁচাই ছাড়া তারা আমার স্মামীকে টেনে হিছড়ে ঘর থেকে বের
করে নিয়ে যায়।
অভিযোগে তিনি আরো বলেন, পরবর্তীদিন সকাল ৯টার দিকে আমিসহ আমাদের পরিবারের
সদস্যরা আমার স্মামীর ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে কচুয়া থানায় যাই। থানায় পুলিশ
সদস্যরা আমাকে জানায় ২৫হাজার টাকা দিলে আমার স্মামীকে ছেড়ে দিবে। অনেক
কষ্ট করে কিছু স্মর্নালংকার বন্দক রেখে ১০ হাজার টাকা সুদে করে থানায়
পুলিশকে দিয়েছি। কিন্তু টাকা প্রদান করলেও পুলিশ কোন প্রকার যাচাই ছাড়াই
সম্পূর্ন বে-আইনীভাবে আমার স্মামীকে মিথ্যা রাজনৈতীক মামলা দিয়ে চালান
দেয়। আমরা ১০ হাজার টাকা প্রদান করেও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ও মিথ্যা
বানোয়াট মামলা থেকে রেহাই করতে পারিনি।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আমার জোরদাবি আমা স্মামীকে এই
মিথ্য মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করে, সঠিক তদন্তের করে প্রকিত দোশিদের
দৃষ্টন্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন তার
পরিবারের সদস্যরা।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম অর্থ প্রহনের কথা
অশিকার করে বলেন, যে ব্যাক্তিকে আটক করে চালান দেওয়া হয়েছে সেই বাধাল
ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রকৃত সহ-সভাপতি মোঃ কালাম খাঁ।
https://www.kaabait.com