সর্বশেষ :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

জনমত জরিপে শীর্ষে উঠে আসা দলকে ‘চরমপন্থী গোষ্ঠী’র তকমা দিল জার্মানি

প্রতিনিধি: / ৯১ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫

বিদেশ : জার্মানির অতি-ডানপন্থী ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ (এএফডি) দলকে ‘প্রমাণিত চরমপন্থী গোষ্ঠী’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা।  শুক্রবার ঘোষিত এই তকমা দলটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিতর্ককে নতুন করে উস্কে দিতে পারে। সামপ্রতিক জনমত জরিপে অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির প্রতি সমর্থন রেকর্ড ২৬% এ পৌঁছেছে। ফেব্রুয়ারির আগাম নির্বাচনের পর থেকে অভিবাসন বিরোধী এই দলটি পাঁচ শতাংশ পয়েন্ট লাভ করেছে, যা প্রথমবারের মতো জার্মানির সবচেয়ে শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ফোর্সার সর্বশেষ জরিপে চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সিডিইউ/সিএসইউ ২৪% সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জয়ের তুলনায় ৪.৫ শতাংশ পয়েন্ট কম তাদের। এছাড়া তাদের জোটের অংশীদার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (এসপিডি) ১৪% পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা তাদের নির্বাচনের ফলাফলের তুলনায় ২ শতাংশেরও বেশি পয়েন্ট কম। এ অবস্থায় জার্মান ফেডারেল অফিস ফর দ্য প্রোটেকশন অফ দ্য কনস্টিটিউশন (ইভঠ) ঘোষণা করেছে, তাদের বিস্তৃত তদন্তে দেখা গেছে যে, ‘এএফডি’ দলটি একটি অতি-ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী এবং চরমপন্থী এজেন্ডা অনুসরণ করছে, যা জার্মানির গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে সক্রিয়ভাবে ক্ষুণ্ণ করছে। এএফডি কিছু জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিগত ও বংশধরদের ওপর ভিত্তি করে মানুষের সম্পর্কে দলের ধারণাগুলো স্বাধীন গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। দলটি জার্মান জনগণকে কেবল জাতিগত দিক থেকে সংজ্ঞায়িত করে। নতুন এই তকমার ফলে নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো ‘এএফডি’ দলের কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করার জন্য শক্তিশালী গোয়েন্দা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবে। যেমন: যোগাযোগ নজরদারি এবং দলীয় শাখাগুলোর সন্দেহজনক কার্যকলাপ এবং নিষিদ্ধ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তাদের যোগসূত্র পর্যবেক্ষণ। আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, অভিবাসন-বিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত এএফডি দলটিকে ২০১৯ সালে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। পরে ২০২১ সালে এটিকে ‘সন্দেহভাজন চরমপন্থী গোষ্ঠী’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। দলের আইনি চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কোলন এবং মুনস্টার অঞ্চলের আদালত এই পদবী বহাল রেখেছে।


এই বিভাগের আরো খবর