সর্বশেষ :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

‘৬০০ উত্তর কোরীয় সেনা নিহত’ মস্কোর পক্ষে যুদ্ধে

প্রতিনিধি: / ১৯৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

বিদেশ : মস্কোকে সাহায্য করার জন্য পিয়ংইয়ং সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করার পর  বুধবার সিউলের একজন আইন প্রণেতা জানান, রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৬০০ সেনা নিহত ও আরো কয়েক হাজার আহত হয়েছেন। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার ব্রিফিংয়ের পর সংসদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য লি সিওং-কুয়েন সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার সেনা হতাহতের সংখ্যা প্রায় চার হাজার ৭০০, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জন নিহত হয়েছেন। উত্তর কোরিয়া সোমবার প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় সেনা মোতায়েনের কথা নিশ্চিত করে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানায়, পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুরস্কে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল পুনরুদ্ধারে মস্কোকে সহায়তা করেছে। উভয় দেশের আনুষ্ঠানিক নীরবতার কয়েক মাস পর মস্কোও পৃথকভাবে উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। যদিও সিউল ও ওয়াশিংটন পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে এর আগেও সাহায্যের জন্য সেনা ও অস্ত্র পাঠানোর অভিযোগ করেছে। লি বলেন, এই বছর প্রায় দুই হাজার সেনাকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন তাদের পিয়ংইয়ং ও দেশের অন্যান্য স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। উত্তর কোরিয়া ‘রাশিয়ার কুরস্ক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করায় দুটি পর্যায়ে ১৮ হাজার সেনা মোতায়েন করে’। মার্চ মাস থেকে এই অঞ্চলে সংঘর্ষ হ্রাস পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ছয় মাস ধরে লড়াইয়ের পর, সিউলের জাতীয় গোয়েন্দা পরিষেবা অনুমান করেছে, উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর ‘যুদ্ধক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে’। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া বারবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য সেনা মোতায়েনের নিন্দা জানিয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ কনটেইনার বোঝাই অস্ত্র পাঠানোর জন্য উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করেছে। সিউল দাবি করেছে, এর বিনিময়ে পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে। এ ছাড়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিরল এক সফরে উত্তর কোরিয়ায় গেলে দুই দেশের মধ্যে একটি বিস্তৃত সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল। গত বছর পিয়ংইয়ং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়া এসব অস্ত্র রাশিয়াকে রপ্তানির জন্য পরীক্ষা করে থাকতে পারে, যাতে সেগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়। সূত্র : এএফপি


এই বিভাগের আরো খবর