আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন থাকা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান থেকে একটি এফ/এ-১৮ই ‘‘সুপার হর্নেট’’ যুদ্ধবিমান সাগরে পড়ে গেছে। এ দুর্ঘটনার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৬৭ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১০ কোটি টাকারও বেশি। গত সোমবার লোহিত সাগরে অবস্থানকালে এ ঘটনা ঘটে। মার্কিন নৌবাহিনীর দেওয়া তথ্যমতে, যুদ্ধবিমানটি হ্যাঙ্গার ডেকে থাকা অবস্থায় সেটিকে স্থানান্তর করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এক কর্মী। মুহূর্তের মধ্যে বিমানটি একটি ছোট টো ট্রাক্টরের সঙ্গে সাগরে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার সময় বিমানটির পাইলট সিটে ছিলেন না, তবে সঙ্গে থাকা মুভ ক্রুরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সময়মতো লাফিয়ে পড়ে নিজেদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন। যদিও একজন নাবিক সামান্য আহত হয়েছেন, তবে বড় ধরনের কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
জানানো হয়েছে, এফ/এ-১৮ই মডেলের যুদ্ধবিমানটি স্ট্রাইক ফাইটার স্কোয়াড্রন ১৩৬-এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। এমন বিমান সাধারণত রণতরীর হ্যাঙ্গার ডেকে টেনে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হয়, যেন প্রয়োজন অনুযায়ী তা উড্ডয়ন বা মিশনে অংশ নিতে পারে।
মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, বিমানটি উদ্ধারের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।
ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন থাকা দুটি মার্কিন রণতরীর একটি, যা ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে চলমান সামরিক অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। এর আগেও একই রণতরীতে থাকা একটি সুপার হর্নেট বিমান ভুলক্রমে যুক্তরাষ্ট্রেরই একটি মিসাইল হামলায় ভূপাতিত হয়েছিল। তবে সে ঘটনায় দুই পাইলট অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।
বিষয়টি শুধু আর্থিক ক্ষতির দিক থেকেই নয়, মার্কিন সামরিক প্রস্তুতির নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার প্রশ্নও সামনে এনেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র পরিচালনায় আরও বাড়তি সতর্কতা ও স্বচ্ছতা প্রয়োজন।