বিদেশ : ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রা রুপিয়া গত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপিয়ার বিনিময় হার নেমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৪০-এ, যা ১৯৯৮ সালের এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর সর্বনিম্ন। ব্যাংক ইন্দোনেশিয়ার প্রকাশিত জাকার্তা আন্তঃব্যাংক স্পট ডলার রেট অনুসারে, রুপিয়া ১৬ হাজার ৬২২ হার দিয়ে লেনদেন শেষ করেছে, যা আগের দিনের তুলনায় ০.৩৭ শতাংশ কম। চলতি বছর ২০২৫ সালের শুরু থেকে রুপিয়ার মান তিন শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়েছে, যা উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম দুর্বল মুদ্রা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের পর্যবেক্ষণ
অর্থনীতিবিদরা রুপিয়ার সামপ্রতিক দ্রুত অবমূল্যায়নকে ‘ওভারশুটিং’ বলে অভিহিত করেছেন। ট্রিমেগাহ সিকিউরিটিজের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফখরুল ফুলভিয়ান বলেন, ওভারশুটিং তখনই ঘটে, যখন মুদ্রার দর অর্থনৈতিক মৌলিক অবস্থা থেকে দ্রুততর হারে কমে যায়। তিনি পূর্বাভাস দিয়েছেন, রুপিয়ার মান আরও কমে ১৬ হাজার ৮০০-তে পৌঁছাতে পারে, এমনকি দেশীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের কোনো ধাক্কা না লাগলেও। ফুলভিয়ান আরও বলেন, আমরা এখনো চলতি হিসাবের ঘাটতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছি, বিশেষত যখন বৈশ্বিক রপ্তানি সম্ভাবনা দুর্বল হয়ে পড়ছে।
রুপিয়ার দরপতনের কারণ
বিভিন্ন কারণকে রুপিয়ার অবমূল্যায়নের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে—
– রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে আগাম শঙ্কা
– নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তোর প্রশাসনের শুরুর অনিশ্চয়তা
– দানান্তারা সার্বভৌম সম্পদ তহবিল চালুর পর বাজারের দুর্বল প্রতিক্রিয়া
– অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলিয়ানি ইন্দ্রাবতীর আগামী মাসে পদত্যাগের গুঞ্জন
সরকারের জন্য সতর্কবার্তা
অর্থনীতিবিদদের মতে, মুদ্রার ব্যাপক দরপতন ইন্দোনেশিয়ার জন্য একটি সতর্ক সংকেত। ফুলভিয়ান পরামর্শ দিয়েছেন, সরকারের উচিত মার্কিন ডলারের তারল্য সহায়তা জোরদার করতে অতিরিক্ত বৈশ্বিক বন্ড ইস্যু করার বিষয়টি বিবেচনা করা।