• মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ০১:৩৬

বাগেরহাটে চাঁদা না দেওয়ায়’ মামা-ভাগ্নে কে হত্যাচেষ্টা

প্রতিনিধি: / ৫৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

এস এম রাজ,বাগেরহাট প্রতিনিধি; বাগেরহাটে ‘চাঁদা’ না দেওয়ায় মামা-ভাগ্নেকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
উঠেছে নব্য বিএনপির কর্মী খাঁন সুমনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত খাঁন সুমন হচ্ছে
খুলনার আওয়ামী লীগের নেতা বুলু বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিল। তিনি আওয়ামী লীগের
সময়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। এখন বর্তমানে বিএনপির কর্মী
হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। আরজু চেয়ারম্যানের কাঁদে ভর করে ঘের দখল,
চাঁদাবাজি , টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসায়ী, দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট, জমি
দখল করে আসছে বলে জানিয়েছেন প্রাবসী শেখ সুজনের মামা শেখ নাসির
আহম্মেদ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যাত্রাপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলরে সামনে এ ঘটনা
ঘটে।
আহতদের বড় ভাই শেখ নাসির আহম্মেদ মোহন (৫৩) বলেন, আমার ভাগ্নে শেখ
সুজন মালয়েশীয়া প্রবাসী। বিদেশে থেকে ১৫ দিন হয়েছে দেশে এসেছেন।
কিছুদিন আগে খাঁন সুমনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন এসে আমার ভাগ্নের
কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা চায় নতুবা বাড়িতে থাকতে পারবি না। আমি চাঁদা
দিবোনা এই কথা বললে আমার ভাগ্নে কে হুমকি দেয়। এরপর আমাদের কাছে
জানালে বিষয়টি নিয়ে আমরা খাঁন সুমনের কাছে জানতে চাইলে আমাদের উপর
ক্ষিপ্ত হয় এবং মারপিটের ভয়ভীতি সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়। গত ২২/০২/ ২৫
তারিখে আমার ছোট ভাই গাউসুল হক মিলন ও ভাগ্নে সন্ধ্যায় বাসার উদ্দেশে রওনা
দিলে পথ আটকায় খাঁন সুমনের নেতৃত্বে খাঁন মোহন, খাঁন হাদিস ও মনিরুল
শেখ গন সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন পথ আটকায়। কেন বাধা দিচ্ছে এই কথা বলার
পরপরই তারা আমার ভাই কে ও ভাগ্নের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছুরি দিয়ে আমার ছোট
ভাই কে মাথায় আঘাত করে। আমার ভাগ্নে কে মারপিট করে আমার ছোট ভাই
গাউসুল হক মিলন কে রামদা, লোহার রড, হাতুড়ী, পাইপ, লাঠি সোটা সহ
বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আমার ছোট ভাই গাউসুল হক
মিলন এর মাথার উপর ডান পাশে কোপ দেয় । পকেটে থাকা ৩৩ হাজার টাকা
হাতিয়ে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ডাক চিৎকারে লোকজন আসলে তারা পালিয়ে
যায়। তারা আমার ভাই ও ভাগ্নে কে মেরে ফেলার জন্যই এসে ছিল। এরপর স্থানীয়রা
উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। আমার ভাইয়ের মাথায়
১৩টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এদের বিচার দাবি জানাই।
অভিযুক্ত খাঁন সুমনের সাথে তার ০১৭২২৯১৭৬৯১ নম্বর মুঠো ফোনে একাধিক
বার যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
বাগেরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহামুদ উল হাসান বলেন, আমরা তদন্ত
যতটুকু পেয়েছি বিদেশে যাওয়ার আগে জায়গা জমি নিয়ে একটি ঝামেলা
ছিল। চাঁদা দাবি করছে এরকম ধরনের কোন ঘটনা আমরা পাইনি।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com