মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের আওতাধিন
১৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রর রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত অফিস কার্যক্রম চললেও। পরবর্তীতে সময়ে
মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দায়িত্বরত পরিবার কল্যান সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা পরির্দশক, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা,
মেডিকেল অফিসার ও (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. হাসান তারেকের পক্ষে সাফাই গাইতে বাগেরহাট জেলা পরিবার
পরিকল্পনা অফিসে অবস্থান নিয়েছেন মাঠ কর্মীরা।
কেন্দ্র বন্ধ পেয়ে সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে সাধারণ রোগীরা। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
কর্মকর্তা-কর্মচারীর দ্বন্দে পরিবার পরিকল্পনা অফিসে হচ্ছে টা কি?।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের এক পরিবার কল্যান সহকারী শামীম আরাকে
কর্মকর্তা অফিসে ডেকে দুব্যবহার ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় সম্প্রতি অফিসের মধ্যে দ্বন্দ চরম আকারে পৌঁছেছে।
মেডিকেল অফিসার ডা. তারেক হাসানের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পরিবার কল্যান সহকারী ১/খ ইউনিটের
দায়িত্বে থাকা শামীম আরা স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ সচিবালয়
ঢাকা, মহা পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও চেয়ারম্যান দুদক কার্যালয়ে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। যার
প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করলে বিষয়টি ভিন্নখাতে
প্রবাহিত করার জন্য শামীম আরার বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা এ দু উপজেলার কর্মীদেরকে
ফুঁসিয়ে তোলেন।
গণস্বাক্ষর নিয়ে প্রেসক্লাব সামনে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন। সেই
সুবাধে রবিবার মেডিকেল (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. হাসান তারেক (এমসিএইচ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,
মোরেলগঞ্জ) থাকার কথা থাকলেও তিনি দায়িত্ব অবহেলা করে সকল ইউনিয়ন কল্যান কেন্দ্রগুলো বন্ধ রেখে পরিবার কল্যান
সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা পরির্দশক, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা ও সমস্ত কর্মচারীবৃন্দকে নিয়ে কর্মকর্তার পক্ষে
বাগেরহাট উপ-পরিচালক কার্যালয়ে শামীম আরার বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন নিয়ে অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোরেলগঞ্জ মেডিকেল অফিসার ও (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হাসান তারেক এর ০১৫৬৮-৯৪৯২২৮
নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।