বিদেশ : সমপ্রতি মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের নতুন বই ‘সোর্স কোড’ এসেছে। বইটি প্রকাশের মাধ্যেমে তার জীবনের নানা অজানা ঘটনা সামনে এসেছে। নিজের হার্ভার্ড জীবনের রোমাঞ্চকর ঘটনাও প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি এলএসডি ট্রিপের কথাও জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভি। সোর্স কোডে মূলত বিল গেটসের ছোটবেলার সময়গুলো উঠে এসেছে। এখানে বিশেষ অর্জিত সাফল্যগুলো উল্লেখ নেই। তিনি ভবিষ্যতে ধারাবাহিকভাবে একই ধাঁচের বই আনবেন। হার্ভার্ডে পড়ার সময় বিল গেটস একজন দুষ্ট প্রকৃতির এবং অবাধ্য ছাত্র ছিলেন। নিয়ম ভাঙার জন্য প্রায় বহিষ্কৃত হতে বসেছিলেন। ‘দুরন্ত’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নিজের প্রচেস্তা এবং কম্পিউটারের প্রতি অসীম ভালোবাসা থাকায় আইকেন কম্পিউটেশন ল্যাবরেটরিতে বহু সময় পার করেছেন। এক মাসে ৭১১ ঘণ্টা ল্যাবে কাটিয়েছিলেন তিনি, যা কর্তৃপক্ষের কাছে খুব অদ্ভুত লেগেছিল। গেটস তার স্মৃতিকথায় উল্লেখ করেছেন, বেশিরভাগ সময় ল্যাবে পড়ে থাকার জন্য একজন সহযোগী পরিচালক তার ল্যাব ব্যবহারের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন করেছিলেন। পরিচালক তার রিপোর্টে জানিয়েছিলেন ‘সে (গেটস) তার কার্যকলাপের ফলাফল বুঝতে পারছে না এবং আমি যখন ব্যাখ্যা করেছি তখনো সে মোটেও প্রভাবিত হয়নি।’
এলএসডি এবং অদ্ভুত অভিজ্ঞতা
গেটস তার হার্ভার্ড জীবনে এলএসডিও সেবন করেছিলেন। একবার বন্ধু পলের সঙ্গে পলের বান্ধবী রিটার জন্মদিন উদযাপন করতে গিয়ে এই ড্রাগ সেবন করেছিলেন। তিনি নতুন বইয়ে লিখেছেন, ড্রাগের প্রভাবে মনে মনে ভাবছিলেন, কম্পিউটারে যেমন কোনো ফাইল ডিলিট করা যায়, তেমন করে মস্তিষ্ক থেকেও স্মৃতি মুছে ফেলা যায় কি না! পরদিন গোসল করতে গিয়ে তিনি ভাবছিলেন, তার সবগুলো প্রিয় স্মৃতি ঠিকঠাক আছে কি না। তিনি নিশ্চিত হন, সবকিছু ঠিকই আছে। এরপর অবশ্য আর কখনোই তিনি এলএসডি সেবন করেননি। তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার একটি অভ্যাস ছিল দুলতে থাকা, যা অনেকের কাছে হয়ত বিরক্তিকর। কিন্তু গণিত এবং বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার জন্য সেই গভীর মনোযোগ প্রয়োজন। পরবর্তীতে ওই অভ্যাসটি আমার একটি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, সোর্স কোড লেখার যাত্রা তার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।