বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী জেট বিমানের সঙ্গে একটি সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়েছে। যাত্রীবাহী বিমানটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। আর হেলিকপ্টারে তিনজন মার্কিন সৈন্য ছিলেন। হতাহতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত না করা গেলেও পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন তারা। এই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন দুজন প্রত্যক্ষদশী। তারা আকাশে উজ্জ্বল আলো দেখেছেন বলে জানান। প্রত্যক্ষদর্শী অরি শুলম্যান বলেছেন, তিনি আকাশে ‘বিশাল আতশবাজির’ মতো এক ধরনের ‘স্ফুলিঙ্গ’ দেখতে পেয়েছেন। সেসময় তিনি বিমানবন্দরের পাশেই জর্জ ওয়াশিংটন পার্কওয়েতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শুলম্যান বলেন, তিনি প্রায়ই সেখানে বিমান অবতরণ করতে দেখেন, তাই প্রথমে কিছু অস্বাভাবিক মনে হয়নি। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, বিমানটি ঠিকঠাক এগিয়ে আসছিল। তবে, এরপর হঠাৎ করে তিনি দেখেন, বিমানটি ডানদিকে প্রায় ৯০ ডিগ্রি কোণে কাত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমি বিমানের নিচের অংশ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম, যা এত অন্ধকারে দেখা যাওয়ার কথা নয়। তিনি বিমানটির নিচে উজ্জ্বল হলুদ আলো এবং সামনের দিক থেকে পেছন পর্যন্ত স্ফুলিঙ্গ দেখতে পান-যা অনেকটা আতশবাজির মতো। কিন্তু বিস্ফোরণের শব্দ না পাওয়ায়, আর আগুনের গোলা বা দুর্ঘটনার অন্য কোনো লক্ষণ না দেখায় তিনি রাস্তার দিকে মনোযোগ দেন। তিনি আরও বলেন, আমি ভেবেছিলাম, আমি কি ভুল দেখলাম? এত বড় দুর্ঘটনার পর কেন কিছুই দেখতে পেলাম না? তবে কিছুক্ষণ পর যখন তিনি সামনে এগিয়ে যান, তখন দেখতে পান, চারদিকে জরুরি উদ্ধারকর্মীদের ভিড় জমে গেছে। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শীও তারার আলোকচ্ছটার মতো সাদা আলো দেখেছেন আকাশে। একজন যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ হামাদ রাজা নামে দুর্ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তিনি রিগ্যান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবন্দরে তার স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যিনি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানে ছিলেন। সে আমাকে টেঙ্ট করেছিল যে সে ২০ মিনিটের মধ্যে অবতরণ করবে। তবে এখন তিনি আশা করছেন, নদী থেকে তার স্ত্রীকে উদ্ধার করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের আইনপ্রণেতারা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী রবার্ট ইসম বলেছেন, দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীদের উদ্ধারে সম্ভাব্য সব কিছু করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।