এস এম রাজ,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ান বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট
আব্দুস সালাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ওয়ার্ড বিএনপির নির্বাচনে
পরাজিত হয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে
মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়ানের ২নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক মোঃ
মাহমুদ হাওলাদার।
রবিবার (২৬ জানুয়ারী) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে লিখিত
বক্তব্যে মোঃ মাহমুদ হাওলাদার বলেন, আব্দুস সালাম, জয়নাল, গফ্ধসঢ়;ফার ও সরোয়ার এর
বিরুদ্ধে অসংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং বিএনপির নেতা কর্মীদের
হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। খাউলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট
আব্দুস সালাম ভুয়া সমন্বয়ক হয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তার মনোনিত
ব্যাক্তিদের দলের বিভিন্ন দায়িত্বে প্রদান করছেন এবং আওয়ামী নেতা কর্মীদের
ওয়ার্ডে সদস্যপদ দিয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো অভিযোগ করেন
ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সরোয়ার হোসেন একজন আওয়ামী পরিবারের লোক। তার
বড় ভাই দেলোয়ার একজন সন্ত্রাসী ছিলেন সে কারনে প্রশাসনের হাতে নিহত হন।
জীবনে কোনদিন বিএনপি সাথে সম্পৃক্ততা ছিলনা। বিএনপির ওয়ার্ড
কমিটিতে আব্দুস সালাম তার নাম অন্তরভুক্ত করেছেন। আব্দুস সালাম ইতিপূর্বে
জামাতের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ছুটির দিনে
মোরেলগঞ্জে তার নিজ বাড়িতে এসে বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং করা সৃষ্টিকরা তার
কাজ। গত ১৭ বছরে তিনি কখনও কোন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহন করেনি।
ওয়ার্ড কমিটি নির্বাচনে তার প্রার্থীরা পরাজিত হলে ভোট কেন্দ্র থেকে
আব্দুস সালাম ও তার সহযোগী জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বেরিয়ে যান। এ
ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফকরুল
ইসলাম আলমগীর, সিনিয়ার যুগ্ম মহাসচিব রিজভি আহম্মেদ, খুলনা বিভাগীয়
সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, খুলনা বিভাগীয় তদারকি কমিটির
প্রধান আমানুল্লাহ আমানসহ জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম
আকরাম হোসেন তালিমের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করে তদন্ত করে অবিলম্বে এ্যাডভোকেট
আব্দুস সালামসহ তার সহযোগিদের দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সকল
কর্মকান্ড থেকে বহিস্কারের দাবি করেন।